Friday, February 27, 2015

8 Bad Habits that Crush Your Creativity and Stifle Your Success

“The brain is a wonderful organ. It starts the moment you get up and doesn’t stop until you get into the office.” 
image of squashed face
It’s a myth that only highly intelligent people are creative.
In fact, research shows that once you get beyond an I.Q. of about 120, which is just a little above average, intelligence and creativity are not at all related.
That means that even if you’re no smarter than most people, you still have the potential to wield amazing creative powers.
So why are so few people highly creative?
Because there are bad habits people learn as they grow up which
crush the creative pathways in the brain. And like all bad habits, they can be broken if you are willing to work at it.
Here are eight of the very worst bad habits that could be holding you back every day:

1. Creating and evaluating at the same time

 

You can’t drive a car in first gear and reverse at the same time. Likewise, you shouldn’t try to use different types of thinking simultaneously. You’ll strip your mental gears.
Creating means generating new ideas, visualizing, looking ahead, considering the possibilities. Evaluating means analyzing and judging, picking apart ideas and sorting them into piles of good and bad, useful and useless.
Most people evaluate too soon and too often, and therefore create less. In order to create more and better ideas, you must separate creation from evaluation, coming up with lots of ideas first, then judging their worth later.

2. The Expert Syndrome

 

This a big problem in any field where there are lots of gurus who tell you their secrets of success. It’s wise to listen, but unwise to follow without question.
Some of the most successful people in the world did what others told them would never work. They knew something about their own idea that even the gurus didn’t know.
Every path to success is different.

3. Fear of failure

Most people remember baseball legend Babe Ruth as one of the great hitters of all time, with a career record of 714 home runs.
However, he was also a master of the strike out. That’s because he always swung for home runs, not singles or doubles. Ruth either succeeded big or failed spectacularly.
No one wants to make mistakes or fail. But if you try too hard to avoid failure, you’ll also avoid success.
It has been said that to increase your success rate, you should aim to make more mistakes. In other words, take more chances and you’ll succeed more often. Those few really great ideas you come up with will more than compensate for all the dumb mistakes you make.

4. Fear of ambiguity

Most people like things to make sense.
Unfortunately, life is not neat and tidy. There are some things you’ll never understand and some problems you’ll never solve.
I once had a client who sold a product by direct mail. His order form broke every rule in the book. But it worked better than any other order form he had ever tried.
Why? I don’t know.
What I do know is that most great creative ideas emerge from a swirl of chaos. You must develop a part of yourself that is comfortable with mess and confusion. You should become comfortable with things that work even when you don’t understand why.

5. Lack of confidence

A certain level of uncertainty accompanies every creative act. A small measure of self-doubt is healthy.
However, you must have confidence in your abilities in order to create and carry out effective solutions to problems.
Much of this comes from experience, but confidence also comes from familiarity with how creativity works.
When you understand that ideas often seem crazy at first, that failure is just a learning experience, and that nothing is impossible, you are on your way to becoming more confident and more creative.
Instead of dividing the world into the possible and impossible, divide it into what you’ve tried and what you haven’t tried. There are a million pathways to success.

6. Discouragement from other people

Even if you have a wide-open mind and the ability to see what’s possible, most people around you will not. They will tell you in various and often subtle ways to conform, be sensible, and not rock the boat.
Ignore them. The path to every victory is paved with predictions of failure. And once you have a big win under your belt, all the naysayers will shut their noise and see you for what you are — a creative force to be reckoned with.

7. Being overwhelmed by information

It’s called “analysis paralysis,” the condition of spending so much time thinking about a problem and cramming your brain with so much information that you lose the ability to act.
It’s been said that information is to the brain what food is to the body. True enough. But just as you can overeat, you can also over think.
Every successful person I’ve ever met has the ability to know when to stop collecting information and start taking action. Many subscribe to the “ready – fire – aim” philosophy of business success, knowing that acting on a good plan today is better than waiting for a perfect plan tomorrow.

8. Being trapped by false limits

Ask a writer for a great idea, and you’ll get a solution that involves words. Ask a designer for a great idea, and you’ll get a solution that involves visuals. Ask a blogger for a great idea, and you’ll get a solution that involves a blog.
We’re all a product of our experience. But the limitations we have are self-imposed. They are false limits. Only when you force yourself to look past what you know and feel comfortable with can you come up with the breakthrough ideas you’re looking for.
Be open to anything. Step outside your comfort zone. Consider how those in unrelated areas do what they do. What seems impossible today may seem surprisingly doable tomorrow.
If you recognize some of these problems in yourself, don’t fret. In fact, rejoice! Knowing what’s holding you back is the first step toward breaking down the barriers of creativity.
How about you? What mental habit has been hardest on your creativity? Let us know in the comments how you’ve handled it.

Word Customize tutorial: ওয়ার্ড কাষ্টমাইজেশন

 
মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে বেশিকিছু সেটিং থাকে যেগুলি আপনি ইচ্ছে করে পরিবর্তন করে ব্যবহার করতে পারেন। কখনো কাজের সুবিধের জন্য, কখনো বিশেষ কোন কাজের জন্য যার যেমন প্রয়োজন তিনি সেভাবে ব্যবহার করেন। কিছু সেটিং ডিফল্ট থাকে, ধরে নেয়া হয় আপনি সেটাই ব্যবহার করবেন। যেমন AutoCorrect
আপনি ভুলক্রমে যদি teh টাইপ করেন ওয়ার্ড নিজেই তাকে পরিবর্তণ করে the বানিয়ে দেয়। ইংরেজি টাইপ করার সময় এতে সুবিধে হয় সন্দেহ নেই, কিন্তু যখন বাংলা টাইপ করেন তখন তাকেও ইংরেজি শব্দ ধরে নিয়ে একাজ করতে পারে। ফল হিসেবে কিছু শব্দ আপনি আদৌ টাইপ করার সুযোগ পাবেন না।
এধরনের পরিবর্তনগুলি কিবাবে করবেন জেনে নিন।

অটোকারেক্ট অপশন পরিবর্তন
.          মেনু থেকে Tools – AutoCorrect Options কমান্ড দিন।
.          ৫টি ট্যাবের প্রতিটি বিষয় দেখে নিন এবং যেগুলি বাদ দিতে চান সেগুলি থেকে টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিন।
.          কাজ করার সময় ওয়ার্ড নিজে থেকেই টাইটেল, সাবটাইটেল, ফন্ট ইত্যাদি বিষয়ের অটোফরম্যাট ব্যবহার করতে পারে। এগুলি বাতিল করে নিজের পছন্দমত করার জন্য অটোফরম্যাট ট্যাব থেকে পরিবর্তন করে নিন।
.          অন্যান্য ট্যাবগুলি দেখে নিন। আপনি প্রয়োজন বোধ করেন না এমন বিষয়গুলি থেকে টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিন।
টুলবার এবং মেনু কাষ্টমাইজেশন
হয়ত লক্ষ করেছেন ওয়ার্ড নিজে থেকে স্মার্ট মেনু ব্যবহার করে। আপনি মেনুর যে কমান্ডগুলি নিয়মিত ব্যবহার করেন সেগুলি সবসময় দেখায় অন্যগুলি দেখা যায় না। সেগুলি দেকার জন্য কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হয়। ইচ্ছে করলে সবসময় মেনুর সবকিছু দেখার ব্যবস্থা করতে পারেন।
.          মেনু থেকে কমান্ড Tools – Customization দিন।
.          Options ট্যাব থেকে Always show full menus সিলেক্ট করুন।
এই ডায়ালগ বক্সে Options ট্যাব থেকে অন্যান্য যে পরিবর্তন করা যাবে তা হচ্ছে
.          Large icons আইকনগুলি বড় আকারে দেখার জন্য।
.          List font names in their font ফন্টের যায়গায় নাম দেখার জন্য।
.          Show ScreenTips on toolbar  টুলবারে মাউস পয়েন্টার আনলে স্ক্রিনটেপস দেখা যাবে কিনা ঠিক করার জন্য।
অন্য আরো দুটি ট্যাব রয়েছে Toolbars এবং Commands নামে। টুলবার ট্যাব থেকে আপনি সিলেক্ট করে দিতে পারেন কোন কোন টুলবার আপনি ব্যবহার করতে চান। ওয়ার্ডে কাজের ধরন অনুযায়ী অনেকগুলি টুলবার রয়েছে। যেগুলি প্রয়োজন সেগুলিতে টিক চিহ্ন দিয়ে নিন।
টুলবারে রাইট-ক্লিক করে যে কোন সময় কোন টুলবার অন-অফ করা যায়।
মেনুতে নতুন কোন কমান্ড যোগ করার জন্য কমান্ড ট্যাব ব্যবহার করুন।
বিভিন্ন ধরনের অপশন পরিবর্তন
ওয়ার্ড কোন ফোল্ডারকে ডিফল্ট ফোল্ডার হিসেবে ব্যবহার করবে, টাইপ করার সময় বানান এবং ব্যাকরন ঠিক করবে কিনা থেকে শুরু করে ব্যবহারকারীর নাম-পরিচয় ইত্যাদি বিষয় বলে দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে ওয়ার্ডে।
.          মেনু থেকে Tools – Options কমান্ড দিন।
.          Spelling & Grammar ট্যাব সিলেক্ট করুন।
.          টাইপ করার সময় বানান ঠিক আছে কিনা যাচাই বন্ধ করার জন্য Check spelling as you type  থেকে টিক উঠিয়ে দিন। টাইপের সময় যাচাই করবে না কিন্তু কমান্ড দিয়ে যেকোন সময় বানান যাচাই করা যাবে।
.          বানান চেক করলে কোন কোন বিশেষ নিয়ম এর বাইরে থাকবে সেটা ঠিক করে দিন।
.          গ্রামার চেক করা বন্ধ করার জন্য Check grammar as you type অংশ থেকে টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিন।
সাধারনভাবে ওয়ার্ড যে নিয়মে গ্রামার চেক করে তারসাথে আপনার ব্যবহার পদ্ধতির গড়মিল হওয়া খুবই স্বাভাবিক। ওয়ার্ড ভুল দেখানো অর্থ এই না যে আপনি ভুল লিখেছেন।
.          আপনার ওয়ার্ড ডকুমেন্টগুলি কোথায় সেভ করবে, ওপেন কমান্ড দিলে কোন ফোল্ডারে খোজ করবে বলে দেয়ার জন্য File location ট্যাব সিলেক্ট করুন। ডকুমেন্ট, পিকচার ইত্যাদির জন্য নির্দিস্ট ফোল্ডার সিলেক্ট করে দিন।
একাধিক ড্রাইভ থাকলে প্রোগ্রাম ড্রাইভের বাইরে অন্য ড্রাইভ ব্যবহার সুবিধেজনক। মুল ড্রাইভে কোন সমস্যা হলে আপনার করা কাজগুলি নিরাপদ থাকে।
.          আপনার নাম-পরিচয় নিজে থেকে প্রতিটি ডকুমেন্টে যোগ করার জন্য User information ট্যাব সিলেক্ট করুন এবং তথ্যগুলি টাইপ করে দিন।
আরো বেশকিছু বিষয় পরিবর্তন করার ব্যবস্থা রয়েছে। সেগুলি পরিবর্তন করে দেখতে পারেন তবে নিশ্চিত না হয়ে পরিবর্তন না করাই ভাল।

Thursday, February 26, 2015

How to spot potential newborn jaundice after birth জন্মের পর নবজাতকের জন্ডিস কিভাবে বুঝবেন

How to spot potential newborn jaundice after birth জন্মের পর নবজাতকের জন্ডিস কিভাবে বুঝবেনশিশুর যকৃৎ পুরোপুরি কর্মক্ষম হয়ে উঠতে একটু দেরি হলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে জন্ডিস হয়। শতকরা ৭০-৮০ ভাগ নবজাতকেরই জন্মের পর জন্ডিস হতে পারে। ৫০ শতাংশের বেলায় একে বলে স্বাভাবিক জন্ডিস বা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিস।নবজাতকের জন্ডিস কেন হয়?কম ওজনে ভূমিষ্ঠশিশু বা সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশুরা জন্ডিসে বেশি আক্রান্ত হয়। এছাড়া জন্ডিসের কারণ হিসেবে যে বিষয়গুলো দায়ী হতে পারে, তা হলো:মা ও শিশুর রক্তের গ্রুপ যদি ভিন্ন হয়।শিশু সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত বুকের দুধ না পেলে, অনেক সময় একে ব্রেস্ট ফিডিং জন্ডিসও বলা হয়।গর্ভাবস্থায় মায়ের কোনো সংক্রমণের ইতিহাস।শিশু জন্মগত কোনো রোগে আক্রান্ত হলে।জন্মের পর শিশুর রক্তে সংক্রমণ বা সেপটিসেমিয়া।জন্মগতভাবে শিশুর যকৃৎ বা পিত্তথলিতে কোনো সমস্যা ইত্যাদিকীভাবে বুঝবেন জন্ডিস?শিশুর হাতের তালু হলুদ হয়ে গেছে কি না লক্ষ করুন। সাধারণত শিশুর মুখ, হাত ও বুক বা পেটের ওপর পর্যন্ত হলুদ হতে দেখা যায়। মলের রং সবুজ হতে পারে। শিশুর গায়ের রং পরিবর্তিত হতে দেখলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা পরীক্ষা করা যায়। রঙের পরিবর্তন বাড়তে দেখলে এইবিলিরুবিন প্রয়োজনে বারবার পরীক্ষা করা যায়।জন্ডিস হলে কি বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে?কোনো অবস্থায়ই নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত রাখা যাবে না।শিশুকে নিয়মিত দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। বিশেষ করে ফিজিওলজিক্যাল বা স্বাভাবিক জন্ডিসের মূল চিকিৎসাই হচ্ছে শিশুকে ঠিকমতো বুকের দুধ খাওয়ানো।রোদ চিকিৎসা বা আলো চিকিৎসাবিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে সাধারণত শিশুকে ফটোথেরাপি বা আলোক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর উপকারিতা ও কার্যকারিতা নিয়ে মতভেদ থাকলেও এখন পর্যন্ত এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিদিন সকালে নবজাতককে আধা ঘণ্টা রোদ পোহাতেও বলা হয়। তবে সূর্যের কড়া রোদ ও অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।কখন সতর্ক হবেন?স্বাভাবিক জন্ডিস সাত দিনের মধ্যেই সেরে ওঠার কথা। এর পরও কিছু ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জন্ডিস দেখা দিলে, সাত বা দশ দিনের পরও না সারলে, শিশু খাওয়া বন্ধ করে দিলে বা কমিয়ে দিলে, জ্বর বা সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে, বিলিরুবিনেরমাত্রা দ্রুত বাড়তে থাকলে বা আগের শিশু জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে থাকলে অবশ্যই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করুন।অধ্যাপক তাহমীনা বেগমশিশুরোগ বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল।

Wednesday, February 25, 2015

Migraine during pregnancy, you need plenty of rest and alerts গর্ভাবস্থায় মাইগ্রেন, প্রয়োজন প্রচুর বিশ্রাম ও সতর্কতা

গর্ভাবস্থায় মাইগ্রেন, প্রয়োজন প্রচুর বিশ্রাম ও সতর্কতা মেয়েদের ক্ষেত্রে সাধারণত মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি দেখা যায়৷ ঋতুচক্রের আগে এবং পরে হরমোনের ওঠানামা, গর্ভনিরোধক বড়ি, চকোলেট, পনির ইত্যাদি মহিলাদের মাইগ্রেনের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ কেন হয়? গর্ভবস্থায় মাইগ্রেনের জন্য অনেকেই গর্ভধারন হরমোনকে দোষ দিয়ে থাকেন৷ তবে হরমোন একমাত্র দোষী নয়৷ গবেষকেরা বলছেন, স্নায়ু পথ পরিবর্তন, মস্কিষ্কে কেমিক্যালের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া এবং মস্কিষ্কে রক্তসংবহন বেড়ে গেলেও মাইগ্রেন দেখা দিতে পারে৷ এছাড়াও স্ট্রেস, ক্লান্তি, চড়া আলো, হট্টোগোল, অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পরিবেশ এবং যে খাবার গুলি গর্ভবস্থায় খাওয়া উচিত নয় সেগুলির কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ এছাড়াও রক্তে শর্করার পরিমাণ কম হলে এবং জলের পরিমাণ কমে হলেই মাথা ম্যথার প্রকোপ বাড়ে৷ কী করবেন? যদি গর্ভাবস্থায় মাইগ্রেনে আক্রান্ত হয় তবে কিছু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কেননা এই সময় অনেক ওষুধ চাইলেও সেবন করা যাবে না। রক্তে শর্করা স্বল্পতা ও পানি শূন্যতা মাথাব্যথার পরিমাণ বাড়াবে। এই সময় কিছু সময় অন্তর কম পরিমাণে খাবার খাওয়া প্রয়োজন৷ এছাড়াও পরিমিত পানি এবং না চাইলেও সামান্য শর্করা জাতীয় খাবারও খেতে হবে৷ পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রামও প্রয়োজন৷ সাধারন মাইগ্রেনের ব্যথা প্রতিকার করা গেলেও গর্ভবস্থায় এটি প্রতিকার সাধারনত মুশকিল কারণ এই বিশেষ সময়ে বেশ কিছু ওষুধ চাইলেও সেবন করা যায়না৷ নিজের অজান্তেই যদি কেউ গর্ভকালীন অবস্থায় এই ধরণের ওষুধ সেবন করে ফেলেন তবে তার প্রভাব গর্ভজাত শিশুর উপরেও পড়তে পারে৷ ওষুধ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে, বিশেষ করে প্রথম তিন মাসে। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ নিরাপদ। তবে অন্য সময় মাইগ্রেনে যেসব ওষুধ দেওয়া হয় যেমন: কোডিন, ট্রিপট্যান বা আরগোটঅ্যামাইন ইত্যাদি খাওয়া নিষেধ। শিথিলায়ন পদ্ধতি কাজে আসতে পারে। মানসিক চাপ কমান, হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। গবেষকদের সমীক্ষায় দেখা গেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গর্ভধারন কালীন সময়ে মহিলাদের মাইগ্রেনের প্রকোপ অনেকটাই কমে আসে৷ কিন্তু গর্ভাবস্থায় যদি মাইগ্রেনের সময় যদি নারীদের মধ্যে মাইগ্রেনের প্রকোপ লক্ষ করা যায় তবে বিশেষ কিছু সতর্কতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়৷ তাছাড়া তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গর্ভধারণকালে এই নারীদের মাইগ্রেনের প্রকোপ অনেকটাই কমে আসে।

Accurate Pregnancy Planning প্রেগন্যান্সির সঠিক প্ল্যানিং

গর্ভকালীন সময়ে বুক জ্বালাপোড়া সমস্যায় সন্তান ধারণের জন্য শারীরিকভাবে সবচাইতে উপযোগী বয়সটা ২১-৩৫ বছরের কোঠায়। বিয়ের পর এই বয়সসীমায় সুবিধামতো খানিকটা সময় নিয়ে সন্তান ধারণ করাটাই যুক্তিযুক্ত। প্রথম সন্তানটি ৩০-এর মার্জিন পেরোনোর আগেই জন্ম দেওয়া ভালো এবং নিরাপদ সিদ্ধান্ত। দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে এই সীমারেখাটা ৩৫-এর মধ্যে থাকাটাই বেটার। ৩০-এর পর বিয়ে হলে সন্তান নেওয়ার জন্য আর কোনো রকম দেরি না করাই নিরাপদ। পূর্বপ্রস্তুতি * প্রি-প্রগন্যান্সি কাউন্সিলিং ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা করারও অন্তত ছয় মাস আগে থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কাউন্সিলিংয়ের সময় আপনার স্বামীকেও সাথে রাখুন। * কিছু প্রয়োজনীয় টেস্ট আগে করে নেওয়া ভালো। যেমন: থ্যালাসিমিয়া স্ক্রিনিং ব্লাড টেস্ট, রুবেলা স্ক্রিনিং টেস্ট ও জরুরি ভ্যাক্সিনেশন। এই টেস্টগুলো করানোর তিন মাস পর প্র্রেগন্যান্সি প্ল্যান গ্রহণ করাটা জরুরি। এর বাড়তি উপকারিতাও রয়েছে। লেট প্রেগন্যান্সির জন্য যে শারীরিক নানা জটিলতা তৈরি হয়, সেসব সমস্যার সমাধানও বাতলে দেন বিশেষজ্ঞরা। * লেট প্রেগন্যান্সির কারণে শিশুদের জিনঘটিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডাউনস সিনড্রোমটাই বেশি প্রকট হয়। তাই প্রেগন্যান্সির আগে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় টেস্ট সেরে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া দরকার। এ ছাড়া সন্তান নিতে আগ্রহী মায়ের হার্ট, ব্রেন ও কিডনি কতটা সুস্থ, সেটাও এই টেস্টে ধরা পড়বে। সন্তান ধারনের জন্য কতটা কার্যক্ষম, তা জানার জন্য মায়ের ব্লাড সুগার, কিডনি, থাইরয়েড পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া দরকার। হবু মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা শক্তিশালী, তাও মেডিকেল চেকআপের মাধ্যমে জেনে নিতে হবে। পূর্বলক্ষণ সাধারণভাবে নিচের লক্ষণগুলো সদ্য প্রেগন্যান্ট মহিলাদের শরীরে দেখা দেয়। তবে এর সবই ম্যান্ডেটরি নয়। ১. পিরিয়ড বন্ধ হওয়া। তবে মনে রাখা ভালো, এটি কিন্তু প্রেগন্যান্সির একমাত্র লক্ষণ নয়। ২. এ সময় ব্রেস্টের নিপলস সাধারণত নরম হয়ে ফুলে যায় এবং অল্প ব্যথা অনুভূত হয়। ৩. ঘুম ঘুম ভাব কাজ করে। সঙ্গে অল্পতেই ক্লান্তি, অবসন্নতা পেয়ে বসে। ৪. বমি বমি ভাব। কিছু কিছু জিনিস বা খাবারের গন্ধ সহ্য না হওয়া। ৫. তলপেটে ফোলা ভাব। ৬. বারবার প্রস্রাব পাওয়া। উল্লেখ্য, সব ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন বা লক্ষণগুলো নির্দিষ্ট করে নাও দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে গাইনোকলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। হোম প্রেগন্যান্সি কিট মনের মধ্যে খুঁতখুঁতানি এলে বাড়িতেই হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে নিশ্চিত হতে পারেন। হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট বড় ধরনের যেকোনো ওষুধের দোকানেই কিনতে পাওয়া যায়। পিরিয়ড মিস হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে সকালের প্রথম ইউরিনের দুই ফোঁটা এই টেস্ট কিটের ভেতরের টেস্টিং স্টিকের নির্দিষ্ট জায়গায় ফেললেই বোঝা যাবে আপনি প্রেগন্যান্ট কি না। কিট বক্সের ভেতরেই ব্যবহারের নির্দেশিকা রয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ল্যাবরেটরিতেও ইউরিন টেস্ট করিয়ে নিতে পারেন। অনেক সময় প্রেগন্যান্সি এলেও রেজাল্ট নেগেটিভ দেখাতে পারে। সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আগমনী সংবাদ পাওয়ার পর প্রথম তিন মাস (ফার্স্ট ট্রাইমেস্টার) গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস বা প্রথম ১২ সপ্তাহের সময়কে বলা হয় ফার্স্ট ট্রায়মেস্টর। সময়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যা যা করণীয় ৭. এ সময় শরীরে একসঙ্গে নানাধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। ভ্রূণ বা ফিটাসের বৃদ্ধির জন্য এই সময়টা খুবই জরুরি। হার্ট, ব্রেন, মাথা, হাত, পায়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ প্রথম তিন মাসেই তৈরি হয়ে যায়। এই সময় জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তনের উপযুক্ত সময়। ৮. কনসিভ করার নয় সপ্তাহের মধ্যে প্রথম প্রি নেটাল চেকআপ করানো। ৯. ব্যায়াম খুব প্রয়োজনীয়। ফিট থাকতে সাধারণ ব্যায়াম করা যেতে পারে। ১০. দিনে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। দ্বিতীয় তিন মাস (সেকেন্ড ট্রাইমেস্টার) প্রথম দিকে মায়ের শরীরে যে সমস্যা বা লক্ষণগুলো দেখা দিয়েছিল, সেগুলো আস্তে আস্তে কমে আসবে। তুলনামূলক সুস্থ স্বাভাবিক বোধ হবে। এই সময় থেকেই কিন্তু বাইরে থেকে প্রেগন্যান্সি বোঝা যেতে শুরু করে। কারণ ভ্রণের আকার ও ওজন দ্রুতগতিতে বাড়তে শুরু করে। এ সময় ভ্রণের দৈর্ঘ্য ছয় সেন্টিমিটারের কাছাকাছি হয় এবং শেষের দিকে প্রায় একটা পূর্ণাঙ্গ শিশুর আকার ধারণ করে। যা যা করণীয় ১১. মায়ের ওজন এই সময় বেশ খানিকটা বেড়ে যায়। হাঁটাচলা, ওঠ-বস, শোয়ার অভ্যাসে এ সময় থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। ১২. প্রচুর পানি পান করতে হবে। ১৩. এই সময় সাধারণত পা ফুলে যায়, সেজন্য পা দুটোকে যথেষ্ট বিশ্রাম দিতে হবে। প্রয়োজনে সোফা বা চেয়ারের সামনে একটা ছোট টুল রেখে তার ওপর পা তুলে বিশ্রাম করা উচিত। ১৪. হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে বুকিং করে রাখা ভালো। ১৫. বিনোদনের জন্য এ সময় মজার সিনেমা দেখা, গান শোনা, বই পড়া উচিত। ১৬. সম্প্রতি মা হয়েছেনÑএমন কারো সঙ্গে চিন্তাভাবনা শেয়ার করে টিপস ও আইডিয়া নেওয়া যেতে পারে। শেষের তিন মাস (থার্ড ট্রাইমেস্টার) এই সময়কালটি প্রেগন্যান্সির ফাইনাল স্টেজ হিসেবে ধরা হয়। গর্ভে থাকা ভ্রƒণ প্রায় ১র্র্৯র্ থেকে ২র্১র্ লম্বা হয়ে যায়। ওজন বেড়ে দাঁড়ায় ৬ পাউন্ড থেকে ৯ পাউন্ড। এ সময় ধীরে ধীরে ভ্রƒণের মাথা জরায়ুর নিচের দিকে ঘুরে যায়। যা যা করণীয় ১৭. এ সময় ভ্রূণের তাপমাত্রা মায়ের শরীরে ছড়িয়ে পড়ায় মায়ের একটু বেশি গরম লাগে। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ১৮. শারীরিক পরিবর্তন যেহেতু অনিবার্য, তাই সারা দিন খুব ক্লান্ত লাগতে পারে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম খুব দরকার। ঘুমানোর সময় পাশ ফিরে শোওয়া উচিত। সাপোর্টের জন্য দুই পায়ের মাঝে এবং পেটের তলায় মোটামুটি বড় ও নরম বালিশ রাখা যায়। ১৯. পিঠে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। বসার সময় পিঠের নিচের দিকে বালিশের সাপোর্ট নিন। এ সময়ে (শিশুর জন্মের আগেই) মায়ের নিপলস থেকে ফোঁটা ফোঁটা হলুদ দুধ (কোলোস্ট্রাম) গড়িয়ে পড়তে পারে। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। সাপোর্টিভ ব্রা পরলে কিছুটা ভালো লাগবে। ২০. ডেলিভারির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। খাওয়া-দাওয়া ২১. ব্যালেন্সড ডায়েট প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে খুবই জরুরি। এই সময় শরীরে ক্যালসিয়াম ও আয়রন প্রয়োজন। এ জন্য সবুজ শাকসবজি, লাল ছোলা, কাঁচকলা, পালংশাক, শুকনো ফল, ছোট মাছ, কলিজা যেন অবশ্যই খাদ্য তালিকায় থাকে, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। লোহার কড়াইয়ে রান্না করুন। ক্যালসিয়ামের জন্য দুগ্ধজাত সামগ্রী যেমন: দুধ, দই, ছানা,পনির খেতে পারেন। ২২. ফ্যাটি ফুড এড়িয়ে চলতে হবে। রান্নার সময় তেল ও ঘিয়ের পরিমাণ কম রাখুন। ফ্যাটি ফুড রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়ে ভ্রƒণের ক্ষতি করতে পারে। ২৩. চিকিৎসকেরা ফলিক অ্যাসিড নামক ভিটামিন প্রেগন্যান্সির আগে থেকে খেতে বলেন। প্রেগন্যান্সির ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত এই ফলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট খেতে হতে পারে। সবুজ শাকসবজি ও লেবুজাতীয় ফলেও ফলিক অ্যাসিড থাকে। চা, কফি, সফট ড্রিংকস এবং চকোলেটÑপ্রতিটির মধ্যেই ক্যাফিন রয়েছে। ক্যাফিনযুক্ত পানীয় খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দিনে দুই কাপের বেশি চা বা কফি না খাওয়াই ভালো। ২৪. এই সময় কনস্টিপেশনের সমস্যা দেখা যায়। ফাইবার এই সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে। ডায়েটে তাই ফাইবার-জাতীয় খাবার যেমন: শাকসবজি, খোসাসুদ্ধ ফল অবশ্যই রাখতে হবে। সেই সঙ্গে বেশি পরিমাণে পানি খেতে হবে। ২৫. খালি পেটে থাকবেন না। যতবার ইচ্ছে, ততবারই খান। একবারে বেশি না খেয়ে বারবার অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়া হলো। ২৬. কনসিভ করার পর শুরুর দিকে মর্নিং সিকনেসের সমস্যা থাকে। এটা কাটাতে সকালে বিছানা ছাড়ার আগেই দু-একটা বিস্কুট বা সামান্য মুড়ি চিবিয়ে একটু পানি খেয়ে নেওয়া ভালো। যা যা খেতে ভালো লাগে, সেগুলোই পরিমাণমতো এবং বিরতি দিয়ে দিয়ে খাওয়া উচিত। অবশ্য ইচ্ছে হলো আর দেদারসে ফাস্ট ফুড খেয়ে গেলেন, সেটা মোটেই সুবিধের বিষয় হবে না; খেতে হবে একটু রয়ে-সয়ে। বমি, কনস্টিপেশান, বুক-গলায় জ্বালাপোড়া বা অরুচির মতো সমস্যাগুলোর সাথে পেরে ওঠার জন্য ওষুধ নয়, হালকা আর সহজপাচ্য খাবার গ্রহণ করাই ভালো। ২৭. মাথায় রাখতে হবে, খাবারটা শুধু নিজের জন্য নয়, শরীরের অভ্যন্তরের ছোট্ট শিশুটির জন্যও। ওর কী দরকারি, সেটা তো মানতেই হবে। প্রোটিন-ভিটামিন-ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তার ক্যালকুলেশনটা তাই সব সময়ই মেনটেইন করতে হবে। আর বাড়তি খাবার তো খেতে হবেই। ২৮. ফলের রস বা স্যুপের মতো আইটেমগুলো তো সব সময়ই হিট, আবার শরীরের উপকারের জন্যও ফিট। রুচিমতো বুঝে-শুনে এই আইটেমগুলো নিয়মিত খাওয়াটা বেশ ভালোই হতে পারে। ২৯. ফিজিশিয়ানের কাছ থেকে একটা যুৎসই ডায়েট চার্ট করে এনে সেটা মেনে চলতে হবে। সারা দিনে কী কী খাচ্ছেন, তা একটি ডায়েরিতে লিখে রাখুন এবং এটি নিয়মিত মেনটেইন করুন। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন ৩০. বাড়ির বাইরে বা অফিসে কাজ করলে সাবধানে থাকতে হবে। অফিস কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বাইরের কাজ একটু কমিয়ে নিন। এক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ বসে না থেকে মাঝেমধ্যে খানিকক্ষণ পায়চারি করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক থাকবে। ৩১. আগে অ্যাবরশন করে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কিছু বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন। ৩২. এ সময়ে ভারী জিনিস একেবারেই তুলবেন না। বাড়ির কাজ করার সময় চেষ্টা করুন নিচু হয়ে কোনো কাজ যাতে না করতে হয়। একান্তই নিচু হতেই হলে হাঁটু ভেঙে সাবধানে বসে কাজ করুন। ৩৩. এ সময় রিকশায় চড়া বিপজ্জনক, তাই ছোট দূরত্বের জন্যও বাস বা গাড়ি ব্যবহার করুন। ৩৪. জাঙ্ক ফুডকে না বলুন। বাইরে খাওয়া একেবারেই কমিয়ে দিন। ভাজা-পোড়া খাবার ব্লাড প্রেশার বাড়ায়, যা মা-শিশু উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক। ৩৫. মেজাজ-মর্জি ঠিক রাখুন। ঘরে বাইরে স্ট্রেস সমঝে চলুন। প্রয়োজনে সহকর্মীদের কাছ থেকে সাহায্য নিন। একটানা কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। ৩৬. অবসর সময়ে নিজেকে কোনো সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখুন। যে কাজগুলোর জন্য সাধারণত সময় করে উঠতে পারেন না, সেগুলো করার আদর্শ সময় কিন্তু এখনই। তবে কাজ করার সময় ক্লান্তি এলে সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রাম নিন। ৩৭. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া পেইন কিলার, অ্যান্টাসিড বা অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট-জাতীয় কোনো ওষুধ খাবেন না। এসব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। ৩৮. ওবিসিটি থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ডায়েট চার্ট করুন। চলাফেরার অভ্যাস যেমন হবে ৩৯. এই নয়-দশ মাস লম্বা জার্নি যথাসম্ভব এড়িয়ে যান। ৪০. যাতায়াতের ক্ষেত্রে রিল্যাক্সভাবে বসা এবং বসার ভঙ্গি কিছুক্ষণ পরপর বদলে ফেলা উচিত। ৪১. সামনে ঝুঁকে কাজ করার প্রবণতা বাদ দিন। শিরদাঁড়া যতটা পারা যায় টানটান রাখাই নিরাপদ। ৪২. স্যান্ডেলের বিষয়ে স্টাইলের চিন্তাটায় একটু বিরতি দিতেই হবে। হালকা, আরামদায়ক ও ওয়েল ব্যালান্সড স্যান্ডেল পরাটাই শ্রেয়তর। ৪৩. বাথরুমে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। যে ধরনের স্যান্ডেলগুলোতে পা সিøপ করার সামান্যতম আশঙ্কাও থাকে, সেগুলো দ্রুত বাতিল করে ‘নিরাপদ’ প্যাটার্নের স্যান্ডেল ব্যবহার করতে হবে। আপনার বাথরুম যেন ব্যবহারের সময় শুকনো থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ত্বকের যত্নে ৪৪. অ্যালার্জিজনিত সমস্যাটা প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে বেশ কমন, বিশেষ করে দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার কনসিভ করবার ক্ষেত্রে এই হারটা বেশি থাকে। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। ক্যালামাইন-জাতীয় লোশনে আরাম পাওয়া যেতে পারে। ৪৫. হারপিস জেস্টেশানিসের মতো স্কিন ডিজিজ মা এবং শিশু, দুজনেরই ভয়ংকর ক্ষতি করতে পারে। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ৪৮. যতটা সম্ভব হালকা-পাতলা সুতির পোশাক পরা উচিত। নখ কেটে ফাইল ঘষে নমনীয় রাখতে হবে, যাতে করে ত্বকে সামান্য আঁচড়, আঘাতও না লাগে। ৪৬. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিয়মমতো গোসল এগুলো তো করতেই হবে। তবে বেশি তেল, সাবান বা কসমেটিকস ব্যবহার না করাটাই ভালো। আর পারলারে গেলে হেভি কেমিক্যাল দেওয়া বিউটি ট্রিটমেন্ট করাবেন না। আর এ সময় চুল পার্ম বা ডাই করা বন্ধ রাখুন। নাক-কান-গলার সমস্যায় ৪৭. নাক দিয়ে পানি পড়া ও হাঁচির মতো সমস্যাগুলোর জন্য ধুলা-ধোঁয়া এড়িয়ে চলতে হবে। দরকার হলে গরম পানিতে গোসল, ফুটবাথ বা গার্গল করতে হবে। ৪৮. দাঁতের গোড়া থেকে ব্লিডিং বা মাড়ি ব্যথার ক্ষেত্রে গার্গলই সবচেয়ে উপকারী। হুট করে ওষুধ খাওয়া শুরু করা যাবে না। ৪৯. গলা বা কানে ব্যথা, কম শোনা আর শোঁ শোঁ শব্দ হওয়ার মতো সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে এরিথ্রোমাইসিন বা পেনিসিলিন-জাতীয় নিরাপদ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করাই বাঞ্ছনীয়। সুস্থ হাসির জন্য ৫০. সঠিক নিয়মে দিনে তিনবার করে ব্রাশ করতে হবে। খাবার পরই মুখ কুলকুচি করে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। ৫১. পান, জর্দা, চুন-জাতীয় নেশা থেকে দূরে থাকুন। এসব দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি করে। ৫২. ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ প্রচুর খাবার খেতে হবে। কারণ এ সময় শরীরে অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের দরকার পড়ে। ৫৩. মুখে কোনো রকমের সমস্যা বোধ করলে গরম পানিতে কুলকুচি ও গার্গল করতে হবে। ৫৪. দাঁতে কোনো রকমের সমস্যা বা ইনফেকশন হলেও ইচ্ছেমতো ওষুধ খাওয়া যাবে না। ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ট্রিটমেন্ট টিপস ৫৫. একজন ফিজিশিয়ানের কাছে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কনসাল্ট করুন। এ ক্ষেত্রে বোঝাপড়ার একটা বিষয় থাকে, যেটা অন্তত একজন চিকিৎসকের নিয়মিত পরামর্শ নেওয়া উচিত। এতে যেকোনো ধরনের সমস্যা ধরতে ও সারাতে ডাক্তারের যেমন: সুবিধা, মায়েদের জন্যও তেমনি কমফোর্টেবল। ৫৬. যেকোনো সমস্যা, কনফিউশন বা চিন্তা নিয়ে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। কোনো কিছুই এড়িয়ে যাবেন না বা কোনো কিছুই অবহেলা করবেন না। ৫৭. ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট মেনটেইন করতে হবে। যেসব এক্সারসাইজ করা যায় ৫৮. বিশেষ কোনো সমস্যা বা অস্বাভাবিকতা না থাকলে প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। ৫৯. পিঠ ও কোমরের ব্যথার মতো কষ্টগুলো এড়াতে কিছু ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন। ৬০. এক্সারসাইজ নিয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারণা কাজ করে। যেমন: আগে এক্সারসাইজ করার অভ্যাস না থাকলে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় এটা এড়ানো উচিত। এর উল্টোটাই বরং সত্য। এক্সারসাইজ শুরুর জন্য প্রেগন্যান্সি বরং বেশ মোক্ষম একটা সময় বলা যায়। ৬১. মনে রাখবেন, প্রেগন্যান্সির সময় ঠিকমতো এক্সারসাইজ করলে প্রেগন্যান্সি-সংক্রান্ত জটিলতার হার কমে যায়। এক্সারসাইজের মাধ্যমে পরে ওজন অতিরিক্তবেড়ে যাওয়ার মতো ঝামেলাগুলো থেকেও নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। ৬২. লেট প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে ব্যথা (হাঁটু, কোমর ইত্যাদি) কমাতে এবং শরীরের বাড়তি ওজনের প্রেশার থেকে রিলিফ দিতে সাঁতারের জুড়ি নেই। পানিতে ভাসার বিদ্যাটা জানা থাকলে সময় করে নিয়মিত খানিকটা সাঁতরে নিতে ভুলবেন না। দূরে থাকুক বদভ্যাস ৬৩. সিগারেট ও হার্ড ড্রিংকস থেকে এক শ হাত দূরে থাকতে হবে। ৬৪. প্যাসিভ স্মোকিংয়ের ক্ষতিটা ডিরেক্ট স্মোকিংয়ের থেকে কোনো অংশে কম নয়। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ৬৫. এ সময়টায় স্ত্রী ও স্বামী দুজনকেই ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে। এগুলোর প্রভাব সরাসরি সন্তানের ওপর গিয়ে পড়ে। ৬৬. পরিবারে বা কর্মক্ষেত্র যেখানেই হোক না কেন, একজন প্রেগন্যান্ট মা অবশ্যই তার সামনে যে কাউকে স্মোক বা ড্রিংক করতে নিষেধ করবেন। এ ব্যাপারে কোনো রকম আড়ষ্টতা, ভয়-ভীতি বা কম্প্রোমাইজ করা চলবে না। সেক্সারসাইজ ৬৭. প্রেগন্যান্ট অবস্থায় কখনোই সহবাস করা যাবে না এটিও একধরনের ভ্রান্ত ধারণা। বিশেষ কোনো শারীরিক সমস্যা বা ঝামেলা না থাকলে কনসিভ করার পর প্রথম দুই মাস এবং শেষের মাস ছাড়া পুরোটা সময়েই সহবাস নিরাপদ। ৬৮. তবে সেক্স-পজিশন নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পেটে চাপ লেগে গেলে খানিকটা ঝুঁকির আশঙ্কা থেকে যায়। এই বিষয়টা মাথায় রেখে স্পেসিফিক ও সেফ পজিশনে সহবাস করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটা ভালো। ৬৯. গর্ভাবস্থায় শারীরিক মিলনের ক্ষেত্রে সব সময় কনডম ব্যবহার করা উচিত। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ থেকে ইউটেরাস নিরাপদ থাকে। একই সঙ্গে ইউটেরাইন কন্ট্রাকশান বা হঠাৎ ব্লিডিং হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম থাকে। প্রেগন্যান্সি রুটিন চেকআপ ৮-১২ সপ্তাহ : আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে ইউটেরাসের মধ্য স্থিত শিশুর অবস্থান এবং বৃদ্ধি-পরীক্ষা করা যায়। ১১-১৪ সপ্তাহ : বিশেষ স্ক্যান ও মায়ের রক্তপরীক্ষার মাধ্যমে (কম্বাইনড টেস্ট অব ডিটেকশন অব ফিটাল ক্রোমোজমাল অ্যানোম্যালি) ভ্রূণের ক্রোমোজমগত ত্রুটি আছে কি না, তা বোঝা যায়। ১৮-২২ সপ্তাহ : আলট্রাসাউন্ড স্ক্যানের মাধ্যমে ভ্রƒণের কোনো শারীরিক অসংগতি আছে কি না, পরীক্ষা করা হয়। এ ছাড়া প্ল্যাসেন্টর পজিশন ভালো করে দেখে নেওয়া হয়। এই সময়ে ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে ব্লাড গ্রুপিং আর এইচ ফ্যাক্টর, হিমোগ্লোবিন, থাইরয়েড, ক্রিয়েটিনিন, ব্লাড সুগার পরীক্ষা করা হয়। ভাইরাল স্ক্রিনিংও এই সময়ে করা হয়। ২৮-৩২ সপ্তাহ : গর্ভস্থ শিশুর শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিকভাবে কাজ করছে কি না, তা জানার জন্য ডিটেলড আলট্রাসাউন্ড টেস্টিং করা হয়। এ ছাড়া আরও একবার ব্লাড এবং ইউরিন পরীক্ষা করা হয়। এ সময় আর্লি অনসেট অব ইন্ট্রাইউটেরাইল গ্রোথ রেস্ট্রিকশন অব দ্য বেবি হচ্ছে কি না, তা বোঝা যায়। ৩৬-৪০ সপ্তাহ : প্রয়োজন হলে ইউএসজির মাধ্যমে জরায়ুতে শিশুর বৃদ্ধি এবং প্ল্যাসেন্টার পজিশন ভালো করে বুঝে নেওয়া হয়। যেসব ক্ষেত্রে গর্ভধারণ ঝুঁকিপূর্ণ * মায়ের বয়স যখন ১৮ বছরের কম অথবা ৩৫-এর বেশি। * মায়ের উচ্চতা র্৪র্৬র্ -এর কম হলে। * আগে অ্যাবরশন করিয়ে থাকলে। * আগেরবার প্রি-টার্ম ডেলিভারির কারণে যদি স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজনের বাচ্চা হয়ে থাকে বা আগের সন্তানের ক্রোমোজোমাল অ্যাবনরম্যালিটি থাকলে। * স্থূলকায় মায়েদের জন্য ঝুঁকি একটু বেশি। মা স্থূলকায় কি না, তা বোঝার জন্য মায়ের উচ্চতা এবং ওজনের স্বাভাবিক অনুপাত বা বডি মাস ইন্ডেক্স দেখতে হবে। * হাই ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হার্ট বা কিডনির অসুখ, অ্যাজমা বা এপিলেপসি থাকলে। * রক্তস্বল্পতা থাকলে। * নেশায় আসক্তি থাকলে। * এইচআইভি সংক্রমণ থাকলে। * রক্তের আরএইচ ফ্যাক্টর নেগেটিভ হলে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ প্ল্যানিং ৭০. প্রথম থেকেই বাড়ি এবং কর্মস্থলে আপনার প্রেগন্যান্সির কথা জানান, এতে করে নিজের চারপাশে একটা সাপোর্ট সিস্টেম গড়ে উঠবে। ৭১. আগে থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খেতে শুরু করুন। এটি অনাগত সন্তানের নিউরাল টিউবের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। আর ১৬ সপ্তাহ থেকে খাওয়া শুরু করুন আয়রন ট্যাবলেট। এ সময় টিটেনাস টক্সয়েড ইনজেকশনও নিতে হবে। জরুরি সময়ে ৭২. গর্ভাবস্থায় তলপেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। ৭৩. ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং এবং তরল ডিসচার্জ দেখা দিতে শুরু করলে ডাক্তারকে জানান। ৭৪. শেষের দিকে কোনো সময় জরায়ুতে শিশুর নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গেছে মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ৭৫. মেডিকেল এমার্জেন্সির মধ্যে বড় ধরনের অসুখ যেমন: হাই ফিভার, ছোঁয়াচে রোগ ইত্যাদিও পড়ে। এ রকম হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডেলিভারি দিনের প্রস্তুতি ৭৬. ছোটখাট ঘরোয়া আড্ডার আয়োজন করতে পারেন। কারো সাহায্য নিয়ে বেডরুমের লুকটাও বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা যায়। আগে-ভাগেই বাড়িতে একজন অভিজ্ঞ আয়া নিয়ে আসুন। সাধারণত তৃতীয় বা চতুর্থ মাসেই ডাক্তাররা এক্সপেকটেড ডেলিভারি ডেট জানিয়ে দেন। তখন থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতাল বা নার্সিং হোমের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করুন। আগে থেকে খোঁজ নিয়ে বা সশরীরে গিয়ে জেনে নিন ডেলিভারির পেমেন্ট প্যাকেজ, হাসপাতালের সুবিধা, সেবা, ব্যবস্থাপনার অবস্থা ইত্যাদি। ৭৭. ডেলিভারি ডেটের দুই-তিন মাস আগে অফিসের সঙ্গে মেটার্নিটি লিভ-সংক্রান্ত কথাবার্তা বলে রাখুন। ডক্টরস সার্টিফিকেট অ্যাটাচ করে ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষ বা হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্টকে চিঠি দিয়ে নিজের প্রেগন্যান্সির কথা জানান। জমানো ছুটির হিসাব বুঝে নিন, ডেলিভারির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে শুরু করুন। যেকোনো খটকায় বা প্রয়োজনে চিকিৎসককে দ্বিধাহীনভাবে প্রশ্ন করুন। সিজারিয়ান ডেলিভারির সময়ে ঠিক কী ঘটে, তার জন্য আপনি ও পরিবারের সদস্যরা কীভাবে প্রস্তুত থাকতে পারেন, সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ নিন। ৭৮. যত্ন করে গুছিয়ে রাখুন মেডিকেল ফাইলগুলো। হাসপাতালে ভর্তির সময় এগুলোর দরকার হবে। প্রথম চেকআপ থেকে মেডিকেল টেস্ট যা যা করিয়েছেন এবং যেসব টিকা নিয়েছেন, তার প্রতিটি রিপোর্ট তারিখ অনুযায়ী ফাইলে গুছিয়ে রাখুন। ডাক্তারের নাম, ঠিকানা, যাবতীয় ফোন নম্বর ইত্যাদির পরিষ্কার করে লিখে ফাইলের শুরুতে রাখুন। ৭৯. হাসপাতালে ভর্তির তারিখ ফাইনাল হওয়ার পরপরই একটি গাড়ির বন্দোবস্ত করে রাখুন। ব্যক্তিগত গাড়ি হলে তো ভালোই। তা না থাকলে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি গাড়ির ব্যবস্থা রাখুন। ভুলেও নিজে ড্রাইভ করার কথা মাথায় আনবেন না। ড্রাইভার ঠিক করুন আর দিন-রাত যেকোনো সময় তাকে প্রয়োজন হতে পারে বলে তাঁকে নির্দেশনা দিয়ে রাখুন। ভাড়া করা গাড়ির ক্ষেত্রে প্রয়োজনের সময় যাতে সঙ্গে কাছের কেউ থাকে, সেটি নিশ্চিত করুন। আপনার স্বামী থাকলে তো কথাই নেই। তবে এ সময় মা বা তেমন কেউ পাশে থাকলে ভালো হয়। যে থাকবে আপনার সাথে, তাকে মেডিকেল ফাইলের যাবতীয় ছোটখাটো বিষয়গুলো বুঝিয়ে দিন। সঙ্গে ডাক্তারের ঠিকানা ও ফোন নম্বরও জানিয়ে রাখুনএমার্জেন্সির সময় কাজে লাগবে। হাসপাতালে যাওয়ার আগে ৮০. আরামদায়ক নাইটি নিয়ে নিন সাথে। তাতে সূতির ও ফ্রন্ট ওপেনিংয়ের সুবিধা থাকলে ভালো। এ ছাড়া ডাক্তারের অনুমতি সাপেক্ষে নিজের পোশাক পরতে পারেন। ৮১. সন্তান জন্মানোর পর তাকে ব্রেস্টফিড করার জন্য একধরনের মেটার্নিওয়্যার কিনতে হবে। নিয়ে নিন অর্ন্তবাস এবং গ্রিপ দেওয়া বাথরুম ফ্লিপফ্লপ বা সিøপার। ভারী হয়ে যাওয়া স্তনকে উপযুক্ত সাপোর্ট দেওয়া এবং বাচ্চাকে ফিড করানোর জন্য নার্সিং প্যাড-লাগানো ব্রা আগেই কিনে ফেলুন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সাথে নিয়ে নিন। চশমা থেকে শুরু করে হাতঘড়ি, নিজের মেডিকেল ফাইল, প্রয়োজনীয় ওষুধ, মোবাইল ফোন, চার্জার, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড এবং একটি ফোটো আইডেনটিটি কার্ড। ৮২. একে একে একটি ব্যাগে বা পাউচে টয়লেট্রিজ সামগ্রীগুলো যেমন: চিরুনি, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, লিপ বাম, লিক্যুইড সোপ, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, নাইটক্রিম, হেয়ার ব্যান্ড বা ক্লিপ নিয়ে নিন। সময় কাটানোর জন্য বইয়ের সাথে ম্যাগাজিন নিন। মিউজিক প্লেয়ার বা আইপড নিতে পারেন গান শোনার জন্য। প্রেগন্যান্সি-সংক্রান্ত কোনো হ্যান্ডবুক থাকলে পড়ার জন্য নিতে পারেন। যেমন হবে মাতৃত্বকালীন পোশাক ৮৩. নিজের পছন্দের সাথে সুবিধা-অসুবিধাকে প্রাধান্য দিয়ে জামাকাপড় বেছে নিন। ৮৪. প্রেগন্যান্সির জন্য একটু বড় সাইজের ব্রা এবং প্যান্টি কিনে রাখুন। মেটারনিটি লঞ্জেরি একটি ভালো অপশন হতে পারে। বিবেচনায় নিতে পারেন স্পোর্টস ব্রা। ৮৫. সুতির পোশাক আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যকর। সিনথেটিক এড়িয়ে চলুন। ৮৬. ফ্ল্যাট, কমফোর্টেবল চপ্পল পরুন। হাই হিল একেবারে না পরাই উচিত। শেষ মুহূর্তে ৮৭. সেকেন্ড টাইম প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে যদি আপনাকে কিছুদিন হাসপাতালে থাকতেই হয়, তবে প্রথম সন্তানের সাথে নিয়মিত ফোনে কথা বলুন। নতুন অতিথির প্রতি তার দায়িত্বগুলো বুঝিয়ে বলুন। আপনার অনুপস্থিতিতে বাড়ি দেখভালের দায়িত্ব কোনো বিশ্বস্ত লোকের ওপর দিয়ে আসুন। আর সন্তান দেখাশোনার জন্য কোনো আত্মীয়কে বাসায় নিয়ে আসতে পারেন অথবা আত্মীয়ের বাড়িতে বাচ্চাকে কয়েক দিনের জন্যে রাখার ব্যবস্থা করতে পারেন। ৮৮. আগে থেকেই কিনে রাখুন নিউবর্ন ডায়াপার, অ্যান্টিসেপটিক লিক্যুইড, ডিটারজেন্ট পাউডার প্রভৃতি। মা হওয়ার পর ৮৯. প্রেগন্যান্সির পর গর্ভনিরোধক হিসেবে সাধারণত প্রজেস্টরন ওনলি পিন প্রেসক্রাইব করা হয়। কারণ কম্বাইনড পিল খেলে ব্রেস্ট ফিডিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা যায়। ৯০. বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ালে প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা থাকে নাÑএমন ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। বাচ্চা হওয়ার ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে কনসিভ করার যথেষ্ট আশঙ্কা থাকে। পোস্ট প্রেগন্যান্সি সময়ে কনট্রাসেপটিভ পিল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ ব্রেস্ট ফিডিংয়ের সময় যেহেতু অনেকের পিরিয়ড বন্ধ থাকে, তাই অজান্তেই কনসিভ করে ফেললে বুঝতে পারা যায় না। ডাক্তারের পরামর্শে উপযোগী গর্ভনিরোধক পিল খেতে শুরু করুন। ডার্মাটোলজিস্ট ড. মো. রোকনউদ্দিন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর প্রশ্ন: গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া কীভাবে লক্ষ রাখবেন? উত্তর: গর্ভধারণের পাঁচ মাস পর থেকে সাধারণত একজন মা গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া খেয়াল করতে পারেন। তবে ৩০ সপ্তাহের পর থেকে নিবিড়ভাবে এই নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়। এ জন্য মা সারা দিন কাজের মধ্যেই এবং দুপুর বেলা ডান কাতে শুয়ে নড়াচড়া গুনবেন। দিনে ১০ বারের বেশি নড়াচড়া বুঝতে পারলে মোটামুটি নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। তবে দু-এক ঘণ্টার মধ্যেই শিশু ১০ থেকে ২০ বার নড়লে আর গোনার দরকার নেই। ডা. রোনা লায়লা বারডেম হাসপাতাল সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৩

Pregnant women convulsions or pre eklampasiya গর্ভবতী নারীর খিঁচুনি বা প্রি এক্লাম্পসিয়া

গর্ভবতী নারীর খিঁচুনি বা প্রি-এক্লাম্পসিয়া গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পর যদি কোনো নারীর রক্তচাপ ১৪০/৯০ বা তার বেশি হয় এবং প্রস্রাবের সঙ্গে আমিষ নির্গত হয়, তবে তাকে প্রি-এক্লাম্পসিয়া বলে। পরে সমস্যাটি গর্ভাবস্থার খিঁচুনি হিসেবেও দেখা দিতে পারে।সমস্যাটি মৃদু বা প্রকট দুই ধরনেরই হতে পারে। রক্তচাপ যদি ১৪০/৯০-এর বেশি কিন্তু ১৬০/১১০-এর কম হয়, তবে সমস্যাটি মৃদু।আর সিস্টোলিক প্রেশার (রক্তের সংকোচন চাপ) যখন ১৬০ বা তার বেশি, ডায়াস্টোলিক (প্রসারণ চাপ) প্রেশার ১১০-এর বেশি হলে সমস্যাটি প্রকট হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। কাদের ঝুঁকি বেশি সাধারণত ২০ বছরের কম বা ৩৫ বছরের বেশি বয়সী গর্ভবতী নারী, যাঁদের পরিবারের কারও উচ্চরক্তচাপ বা প্রি-এক্লাম্পসিয়ার ইতিহাস আছে, পেটে যমজ বাচ্চা, ডায়াবেটিস, ওজন খুব বেশি, রক্ত জমাট বাঁধাজনিত সমস্যা আছে, তাঁদের এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। উপসর্গ হঠাৎ করে ওজন বেশি বাড়তে থাকা, হাতে, পায়ে, মুখে বা সমস্ত শরীরে পানি আসা, মাথাব্যথা, ঘুমের সমস্যা, ওপরের পেটে ব্যথা, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি। জটিলতা এক্লাম্পসিয়া (গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি), গর্ভফুলে রক্তপাত, অন্ধত্ব, মস্তিষ্কে রক্তপাত, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া, কিডনি বিকল, সন্তান প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, সংক্রমণ, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। শিশুর জটিলতা বাচ্চার ওজন অতিরিক্ত কমে যাওয়া, পেটে বাচ্চার মৃত্যু, অপুষ্ট নবজাতক, শিশুর শ্বাসকষ্ট। চিকিৎসা গর্ভাবস্থায় পরিমিত বিশ্রাম নেওয়া, পরিমিত আমিষজাতীয় খাবার গ্রহণ, দ্রুত ওজন এবং রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছে কি না, তা নির্ণয় করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। ৫০% নারীর সন্তান প্রসবের পর ছয় মাস পর্যন্ত উচ্চরক্তচাপ থেকে যেতে পারে। আর ২৫ শতাংশ নারীর পরবর্তী গর্ভাবস্থায় পুনরায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া হতে পারে। ২০% মায়ের মৃত্যু হয় দেশে এক্লাম্পসিয়ার কারণে। প্রি-এক্লাম্পসিয়া প্রতিরোধ করে মাতৃমৃত্যুর হার কমানো সম্ভব।

The main signs and symptoms of pregnancy গর্ভধারনের প্রধান লক্ষন ও উপসর্গসমূহ

গর্ভধারনের প্রধান লক্ষন ও উপসর্গসমূহ গর্ভধারণ সব মেয়েদের কাছেই অতি কাঙ্ক্ষিত একটি বিষয়। একজন নারী প্রথম বারের জন্য যখন গর্ভধারণ করেন তার কাছে অনেক কিছুই থাকে অজানা। এই সামান্য অজানা তথ্যের জন্য অনেক সময় নানা ধরনের কুসংস্কার মায়ের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। আর একজন নারী গর্ভধারণ করেছেন কি না তা বুঝা যায় কিছু লক্ষণ দেখে। অবশ্য প্রাথমিক পর্যায়ে একজন নারী গর্ভধারণ করলেও কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে। গর্ভবতী হয়ে পড়লেও প্রথম কয়েক সপ্তাহ কিছু না-ও বুঝতে পারেন। একটু ক্লান্তি, একটু বমি বমি ভাব থাকতেও পারে আবার না-ও থাকতে পারে। আপনি হয়তো সেসব খেয়ালই করলেন না। প্রথম যে বিষয়টি আপনি লক্ষ্য করবেন তা হলো, সময় মাসিক না হওয়া। এটা গর্ভধারণের একটা নিশ্চিত লক্ষণ, তবে আরও অনেক কারণে মাসিক না হতে পারে। তাই মাসিক বন্ধ হলেই আপনি গর্ভবতী হয়েছেন তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। কিন্তু গর্ভবতী হলে মাসিক বন্ধ হবেই। গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলো হলোঃ ঋতুস্রাব বন্ধ: যাদের নিয়মিত মাসিক হয় তাদের ক্ষেত্রে গর্ভধারনের সর্বপ্রথম চিহ্ন মাসিক বন্ধ হওয়া। মাঝে মধ্যে গর্ভবতী হলেও মাসিকের সময় সামান্য রক্তক্ষরণ হতে পারে। সবচেয়ে প্রচলিত ও তাৎপর্যপূর্ণ লক্ষণ হলো মাসিক বা ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া। তবে কোনো কোনো গর্ভবতী নারীর পিরিয়ড থাকতে পারে তবে তা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক হাল্কা মাত্রার ও কম সময়ের জন্য। কোনো নারীর যদি আগে থেকেই অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে তবে গর্ভধারণের এ লক্ষণটি তার ক্ষেত্রে একটু সমস্যার সৃষ্টি করবে। ঠিক কবে থেকে মাসিক বন্ধ হলো তা সনাক্তকরণ একটু কঠিনই হবে। অসুস্থ বোধ করা: কোনো কোনো গর্ভবতী নারী সাময়িক ভাবে একটু অসুস্থ বা বমি বমি বোধ করে। এই বমনেচ্ছা কারো কারো ক্ষেত্রে কম হয় বা কারো ক্ষেত্রে খুব অস্বস্তিকর হতে পারে। একে ‘প্রাতঃকালীন অসুস্থতা’ বলে। তবে দিনের যে কোনো সময় এই বমনেচ্ছা প্রবল হতে পারে। এটাও হরমোনের তারতম্যজনিত কারণে হতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত ক্লান্তিভাব এবং ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে। খাবারের প্রতি অনীহা: আগে ভাল লাগত এমন খাবার বিস্বাদ লাগে আর নতুন নতুন খাবার খেতে ইচ্ছে করে। আবার অনেকের মুখে তামাটে স্বাদ লাগে। স্তনের পরিবর্তন: গর্ভধারণ নিশ্চিত হওয়ার পর স্তনের আকারে পরিবর্তন আসা শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে স্তনের বোঁটায় পরিবর্তন আসে। বোঁটা চেপে ধরলে এক ধরনের রস নিঃসৃত হতে দেখা যায়। এটাও এক ধরনের সংকেত গর্ভধারণের। ক্রমেই স্তনের আকার বড় হতে পারে এবং ব্যাথা হতে পারে (অনেকের মাসিকের সময়ও এমন হতে পারে), সুঁড়সুঁড়িও অনুভূত হতে পারে। রক্তনালী (রগ) গুলি আরো বেশি করে দেখা যেতে পারে এবং স্তনের বোঁটা আরো শক্ত এবং কালচে মনে হতে পারে। প্রস্রাব: আরেকটি লক্ষণ হলো অপেক্ষাকৃত বেশিবার প্রস্রাব করা। এমনকি রাতে প্রস্রাবের জন্য ঘুম ভেঙে যেতে পারে। এটা মূলত হরমোনের মাত্রার তারতম্য এবং মূত্রথলির ওপর অত্যধিক চাপজনিত কারণে হয়ে থাকে। এছাড়াও তলপেট ভরা ভরা লাগতে পারে। যৌনিপথ: কোনো কোনো গর্ভবতী নারী প্রথমবার সন্তান নেয়ার সময় একটু ক্লান্ত বা অবসন্নবোধ করে এবং অনেকের ক্ষেত্রেই যৌনি ক্ষরিত রসের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। এমনকি যৌনি পথে কোনো প্রকার জ্বালা পোড়া ছাড়াই বেশি বেশি ক্ষরণ হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য: আরেকটি লক্ষণ হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। এটি হরমোনের মাত্রার তারতম্যের কারণেই হয় এবং বর্ধনশীল জরায়ু ক্রমাগতভাবেই পেটে চাপ দিতে থাকে। বেশি বা প্রচুর আঁশ জাতীয় খাবার যেমন- শুকনো আলুবোখরা, শিম, ছোলা, মটরশুটি ইত্যাদি এক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা রাখে। গর্ভবতী হবার অন্যান্য লক্ষন সমূহ, যেগুলো ৮ সপ্তাহের গর্ভবতী মহিলারা রিপোর্ট করেছেন তা হল - ১. উদরের স্ফিতি ২. কোষ্ঠকাঠিন্য ৩. বুক জ্বালাপোড়া ৪. নাক বন্ধ থাকা ৫. ছোট ছোট শ্বাস ৬. খাবারে অত্যাধিক রুচি অথবা অরুচি ৭. মানসিক পরিবর্তন ৮. মাথা ফাকা ফাকা লাগা ৯. শিরা উপশিরা গুলো দৃশ্যমান হওয়া ১০. হাতের তালু চুলকানো ১১. ত্বকের রঙের পরিবর্তন ( বিশেষ করে মুখমন্ডলের, পেটের, অথবা স্তনের নিপলের ) ১২. যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া গর্ভকালীন সময়ে উপরের এই কারনগুলো নারীদের সবচেয়ে আলোচিত সমস্যা প্রেগন্যান্সি টেস্ট মাসিক বন্ধ হওয়ার দিন থেকেই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যায়। টেস্ট পজিটিভ হলে আপনার গর্ভধারণের দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হয়েছে বুঝতে হবে। দিনের যেকোনো সময়ে এই টেস্ট করতে পারেন। প্রথমে একটি পরিষ্কার কন্টেইনারে (সাবান দিয়ে ধুয়ে থাকলে দেখুন সাবান লেগে আছে কি না) প্রস্রাব সংগ্রহ করুন। কাছের ফার্মেসি থেকে কিনে আনা স্ট্রিপ দিয়ে এবার দেখে নিন আপনি গর্ভবতী কি না। এসব স্ট্রিপের সুবিধা হল, এগুলো বাসায় বসে গোপনীয়তা বজায় রেখেই করা যায়। ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই মোড়কের নির্দেশিকা পড়ে নেবেন। মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বা নির্দেশনা অনুসরণে ভুল হলে টেস্ট ভুল দেখাতে পারে। টেস্ট নেগেটিভ, কিন্তু আপনি নিজেকে সন্তানসম্ভবা বলে মনে করছেন, এমন হলে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করে দেখুন। এরপরও মনে হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। টেস্ট স্ট্রিপ ছাড়াও কাছাকাছি থাকা হাসপাতাল, প্রসূতি ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আপনার প্রস্রাব পরীক্ষা করে গর্ভধারণ নিশ্চিত করতে পারেন।

Chapped lips

Chapped lips Chapped lips Most of us are susceptible to having dry, chapped lips in winter -- when the air is drier. Winter is a season when you can flaunt some of the most gorgeous attires at ease -- from the traditional suits and shawls to the flamboyant winter gowns and leather jackets. But no matter how well-dressed you are, your appearance will leave a lot to be desired if your lips betray you, being cracked and rough. Drink plenty of water. Chapped lips occur due to lack of moisture in your lips and skin. In the cold and dry winter, more moisture is lost from our skin and lips. Staying hydrated is as important in winter as it is in summer, or in any other season for that matter. Use lip balms or chap sticks to nourish and protect your lips. Avoid licking your lips. You may think that you are adding moisture -- or you may do it as a habit -- but it actually dries your lips even more. Your saliva can irritate your lips as it contains acids that break down food. Moreover, you will be licking off any natural oils you have on your lips if you continuously lick them. Whenever possible, avoid the cold. Use you scarf to cover your lips when you are outdoors in the harsh cold weather. Buy and use a humidifier for the indoors. This will help put some additional moisture in your house, consequently making you feel more comfortable and helping your skin and lips. For most of us, drinking plenty of fluids, avoiding licking and biting lips and using chap sticks should be enough to keep lips healthy and luscious. But if your chapped lips are too adamant to heal and they're causing too much suffering, visit a doctor, because winter may not be the only reason for this distress.

Hair-Raising tips

As the weather is naturally dry, you have to take extra care of your hair to ensure it does not become dry as well. In winter, splits ends, dandruff and hair fall are all common. A great way to protect your hair from damage caused by dirt and wind during this time is to wrap up your locks with a silk scarf. Woollen scarves on the other hand will lead to hair breakage. During winter, it is best to treat your hair once a week to a deep conditioning treatment. This will replenish the moisture which tends to get depleted during the season. However busy your schedule is, don't skip the oil your hair needs. Oil your hair at least twice a week to keep it healthy and moistened and to help regulate the blood circulation; oil such as olive oil, castor oil and almond oil are all good for your hair. You can also add vitamin capsules with the oil for better results. After massaging your hair, dip a towel in hot water, squeeze out the water and cover your hair with it. Wash your hair to at least three or four times a week as this will prevent your hair from drying and also prevent the removal of natural oils from the hair. Use mild or herbal shampoo for your hair. After shampooing, using conditioner is a must but you can instead use coconut milk if you want to go natural. Applying a good conditioner will lock the moisture in your hair. Complete the process by running your hair through cold water. Also, avoid contact hair contact with hot water, as that may damage the hair. Allow your hair to dry naturally in winter. Try not to go out with wet hair as this encourages splitting of hair. During winter, avoid using blow dryers, flat irons as well as curling iron. Regular trims are also a great way to keep your hair in good health during the winter.

মুখের ত্বকে যে ৭টি জিনিস ভুলে ব্যবহার করবেন না

সুন্দর ত্বক পেতে আলু আর রসুনের যাদু shajghor_Get beautiful skin potatoes and garlic Magicশিরোনাম দেখে অবাক হচ্ছেন তাই না? ভাবছেন আলু আর রসুন দিয়ে কীসের রূপচর্চা। এগুলো তো খাবার। আরও ভালো করে বললে সবজি আর মসলা! হ্যাঁ, এই সবজি আর মসলাই হতে পারে সুন্দর ত্বক পাবার এক দারুণ হাতিয়ার! আসুন, জেনে নিই- আলুতেই ত্বকের আলো- - আলু কেবল মজার সবজি নয়, আলু দারুণ ফেসমাস্ক ও স্ক্রাবার। বিশেষ করে শুষ্ক ও কালো ত্বকের জন্য আলু খুব ভালো একটি উপাদান। - মুখ পরিষ্কার করার জন্য আলুকে থেঁতো করে নিন, তারপর ভালো করে ডলে ডলে মুখে মাখুন। ৪/৫ মিনিট ম্যাসাজ করবেন। ব্যাস, তারপর দেখুন কি পরিষ্কার একটা ঝকঝকে চেহারা। - কাল দাগ দূর করার জন্য আলু বাটা কিংবা আলুর রস নিন, টার সাথে কাঁচা দুধ মিক্স করুন। এই মিশ্রণ ঘাড়, গলা, কনুই ইত্যাদি স্থানে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন ব্যবহারেই দাগ-ছোপ কমবে। সৌন্দর্য রক্ষাতে রসুন- - রসুন ভরপুর ভিটামিন এ, সি ও ই-তে। যা কিনা ব্রণের সমস্যা দূর করা সহ ত্বকের আরও অনেকগুলো সমস্যা দূর করতে দারুণ কার্যকর। - ব্রণের সমস্যা দূর করতে সামান্য রসুন মুখের ব্রনে ঘষুন, ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের জীবাণু নাশক উপাদান অচিরেই ব্রণটিকে বিলুপ্ত করে দেবে। - অকাল বলিরেখা প্রতিরোধ করে টানটান ত্বক পাবার জন্য হাফ চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার, হাফ চামস চন্দন গুঁড়োর সাথে সামান্য লেবুর রস, তাজা রসুন বাটা ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে ফেসমাস্ক তৈরি করুন ও সপ্তাহে একদিন করে ব্যবহার করুন। রঙ ফর্সা করতে ঘরেই তৈরী করুণ “উইন্টার ফেয়ারনেস ক্রিম” shajghor_Fairnessশীতকালে ত্বকে চলে আসে কালচে একটি ভাব। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে অনেক কালো দেখায়। এটি আবহাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। সেকারণে শীতকালে ত্বকের জন্য দরকার বিশেষ যত্নের এবং বিশেষ ত্বকের প্রসাধনী। বাজারে শুধুমাত্র শীতকালে ব্যবহারের জন্য নানা ফেয়ারনেস ক্রিম পাওয়া যায়। কিন্তু এইসকল কেমিক্যাল সমৃদ্ধ ক্রিমের রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই যদি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ক্রিম ব্যবহার করা যায় তাহলে সবচাইতে বেশি উপকার পাওয়া সম্ভব। রান্না ঘরের টুকিটাকিতেই খুব সহজে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ‘শীতের ফেয়ারনেস ক্রিম’। আজকে চলুন দেখে নিই এই ক্রিম তৈরির বিশেষ পদ্ধতি। যা যা লাগবে- – ৮ টি কাঠবাদাম (আলমন্ড বাদাম) – ১/৪ চা চামচ হলুদগুঁড়ো – ১ চা চামচ দই – ১ চা চামচ মধু – আধা চা চামচ লেবুর রস পদ্ধতি- – কাঠবাদাম সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন মিহি করে। – এতে একটি একটি করে বাকি উপকরণ মেশান। – খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন যাতে খুব মসৃণ একটি পেস্টের মতো হয়। ব্যস, হয়ে গেলো আপনার শীতের ফেয়ারনেস ক্রিম। ব্যবহার বিধি- – এই ক্রিমটি রাতে ব্যবহারের জন্য। তাই রাতে ঘুমুতে

What to eat your children grow up বেড়ে উঠতে কী খাবে আপনার শিশু

বেড়ে উঠতে কী খাবে আপনার শিশু! কোন খাবারের কী গুণ, কোন খাবার কতটুকু খাওয়া উচিত, কোনটা অতি প্রয়োজনীয়, কোনটা নিষিদ্ধ না জানার ফলে নানারকম ঘাটতি বা বাড়তি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাই জন্মের পর থেকেই শিশুকে সঠিক ও সুষম খাবারে অভ্যস্ত করতে পিতা-মাতাকে এগিয়ে আসতে হবে। বাড়ন্ত বয়সে দুধ, ডিম ইত্যাদি খাবার দেয়ার পাশাপাশি শাকসবজিসহ সবধরনের খাবারে অভ্যস্ত করতে হবে। ছয় মাস পর থেকে শিশুকে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার দিতে হবে। চাল, ডাল, বিভিন্ন ধরনের সবজি, মাছ, মাংস, সয়াবিন, ফলমূল থেকে শিশুর উপযোগী খাবার তৈরি করে খাওয়াতে হবে। শিশুকে ফলের রস যেমন- কমলা, আনার, মালটার রস দিয়ে বাইরের খাবার শুরু করতে পারেন। এভাবে আস্তে আস্তে খিচুড়ি শুরু করতে হবে। শিশু হয়তো খেতে চাইবে না, তবে বারে বারে অল্প করে খাওয়াতে চেষ্টা করুন। শিশুর বাড়ন্ত বয়সে পরিপূরক খাবার: মায়ের দুধ খাওয়া ছেড়ে দেয়ার পর থেকেই বাড়ন্ত বয়সের শুরুটা ধরে নেয়া যেতে পারে। এ বয়সে পরিপূরক খাবার তৈরি করতে হবে। খেয়াল রাখা দরকার এ বয়সের শিশুরা স্থির থাকতে চায় না। পুরো বাড়ি ছুটোছুটি করে খেলাধুলা করে, দুষ্টামি করে। এ সময় শিশুকে পরিপূরক খাবার না দিলে একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে, অসুস্থ হয়ে সাধারণ বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। তাই এমন সব উপাদান দিয়ে খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে যাতে খাবারে পুষ্টি উপাদান সুষম পরিমাণের থাকে। সেই সঙ্গে ক্যালরি, আমিষ, খাদ্যপ্রাণ ও খনিজ লবণসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো সঠিক পরিমাণে থাকে। বর্তমানে বেশ গরম পড়েছে। এ সময় খাবার নির্বাচনের সময় গুরুত্ব দিতে হবে যেন শিশুর প্রয়োজনীয় জলীয় অংশের চাহিদা মেটে। আমাদের শরীরের ৭০ ভাগ পানি। শরীরে পানির অভাব পূরণে মৌসুমী ফল তরমুজ খাওয়ানো যেতে পারে। শিশু বাড়তে থাকলে: শিশুর জন্য ২ বছর পর্যন্ত মায়ের দুধ সর্বোৎকৃষ্ট। তবে ২ বছর পর থেকে তাকে বাইরের দুধ বা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দেয়া যেতে পারে। প্রতিদিন ২-৩ গ্লাস দুধ শিশুর চাহিদা অনুযায়ী খাওয়াতে হবে। স্বাদ বাড়াতে চিনি যোগ করতে পারেন। দুধ ছাড়াও খিচুড়ি, হালুয়া, আটার রুটি, মৌসুমি ফল শিশুর খাবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং আস্তে আস্তে পরিবারের সবার জন্য রান্না করা খাবারে তাকে অভ্যস্ত করতে হবে। যেমন- সকালে নাশতার টেবিলে পরিবারের সবাই যা খায় সেগুলো তাকে অল্প অল্প করে মুখে দিতে হবে। আবার দুপুরে সবাই যখন খেতে বসবে তখন তা থেকে একটু একটু মুখে দিতে হবে। যাতে সে ধীরে ধীরে বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে পারে এবং পরিবারের খাবারে অভ্যস্ত হতে পারে। শিশুরা সাধারণত রঙিন সবকিছুই পছন্দ করেন তাই রঙিন ফল খাওয়াতে পারেন। শিশু খেতে না চাইলে ধৈর্য ধরে একটু সময় নিয়ে বারে বারে খাওয়ান। গল্পের ছলেও খাওয়াতে পারেন। স্কুলে যেতে শুরু করলে: মনে রাখতে হবে যে, সব শিশুর পুষ্টি চাহিদা একরকম হয় না। ছেলেমেয়ে, শিশুদের শারীরিক গঠন, বয়সভেদে একই বয়সী শিশুদের মধ্যে পুষ্টি চাহিদা ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত ৪ বছর বয়সে শিশু স্কুলে যেতে শুরু করে। সে বাসায় খেতে না চাইলে টিফিনে পুষ্টিকর খাবারগুলো দিতে পারেন। স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে সহজেই খেয়ে ফেলবে। মাঝে মাঝে টিফিনসহ প্রতিদিনের খাবারের একঘেয়েমি দূর করে চেষ্টা থাকতে হবে নতুনত্ব আনার। আপনার সন্তানের পছন্দের কোনও খাবার থাকলে জিজ্ঞেস করে নিন। প্রত্যেক বাবা-মাকে মনে রাখতে হবে সন্তানের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য পুষ্টিমান খাবারের বিকল্প নেই।

Worried about your child's very restlessness আপনার শিশুর অতিচঞ্চলতা নিয়ে চিন্তিত

আপনার শিশুর অতিচঞ্চলতা নিয়ে চিন্তিত? চঞ্চলতা শিশুর স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু স্বাভাবিক চঞ্চলতা ছাপিয়ে শিশু যখন অতিমাত্রায় অমনোযোগী হয়ে পড়ে, বাড়ি বা স্কুল কোথাও মনোসংযোগের সঙ্গে কোনো কাজ না করতে পারে, সব সময় অস্থিরতা ও দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে থাকে, তাহলে সে অমনোযোগী অতি-চঞ্চলতাজনিত সমস্যায় ভুগছে কি না, তা লক্ষ করুন। এতে আক্রান্ত শিশুদের একটি অংশের শুধু অমনোযোগিতার লক্ষণ প্রকাশ পায়, একটি অংশের অতিচঞ্চলতা দেখা দেয়। কারও কারও দুই ধরনের সমস্যাই দেখা দেয়। পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজে ছোটখাটো ভুল হতে থাকে। প্রায়ই তারা পেনসিল, বই, খেলনা হারিয়ে ফেলে। শান্তভাবে বসে লেখাপড়া বা খেলাধুলা করতে পারে না। লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে পারে না। প্রশ্ন শেষ করার আগেই উত্তর দেয়। কথা বেশি বলে। তবে দু-একটি উপসর্গ থাকলেই শিশুটিকে সমস্যাগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত না করে শিশুরোগ বা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে রোগ বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। এ ধরনের শিশুদের রুটিন তৈরি করে সে অনুযায়ী কাজ করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। বাড়ির সবার জন্য সাধারণ পালনীয় কিছু নিয়ম তৈরি করতে হবে। যেমন স্থির হয়ে হাত ধুয়ে খেতে বসা, সবটুকু শেষ না করে না ওঠা ইত্যাদি। যেকোনো নির্দেশনা শিশুকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে। শিশুর প্রত্যাশিত আচরণের জন্য তাকে পুরস্কৃত করতে হবে, কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের জন্য মারধর বা বকাঝকা করা যাবে না। ডা. মুনতাসীর মারুফ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট। সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ২৯, ২০১৩

How to Quit Smoking

How to Quit Smoking Nicotine is one of the most addictive, harmful and widely available legal drugs in the world. Smoking is a bad habit and it is annoying and harmful to people who don't smoke. It harms children who are exposed to it passively. Cigarettes are responsible for around 4.9 million deaths each year. Quitting smoking is difficult but not impossible. Quit Smoking Step 1 Version 3.jpgSteps 1 Realize that tobacco creates a habit on a variable reinforcement schedule. Sometimes, it gets you high. People smoke long after they have any expectation of getting high. At some point, you can combine it with coffee and alcohol, and it still does not work, but you've done it a hundred, thousand, or more times by then, and so they are all habit smokes. Sometimes, it actually hurts to smoke, and yet people keep doing it. Quit Smoking Step 2 Version 3.jpg 2 Find a strong inner determination to stop smoking. Consider making a list of the reasons you're thinking about quitting to shore up your determination. Specific, current, emotion-based reasons are better than factual, future-based reasons. For instance, "It's embarrassing to ride the elevator at work smelling like a giant cigarette" is more motivating than "I don't want to get cancer when I’m 40, 50 or 60." Get some facts. Look up smoking on the internet and find out the history behind it, and what happens to smokers later on in life. You'll learn about the profit motives behind the industry as well as some medically gruesome reasons to quit. Also, get the facts about any quit-smoking product or technique you're considering, as research shows that some are more effective than others. Your local consumer or community health organization might have comparison charts for you to check out. Quit Smoking Step 3 Version 3.jpg 3 Be positive and confident that you can successfully quit. You have spent time and energy planning how you will deal with the task ahead by following our tips for giving up smoking. Believe you can and you will do it if you persevere. Use goal accomplishment techniques and regular milestone rewards to stay focused and committed. Always start your new life with a sense of excitement and enjoyment. Give yourself rewards for milestones (1 week, 2 weeks, 1 month, 3 months, 6 months, etc.). For example, if you smoked three packs a week at $4 per pack, after 6 months you would have saved $288, probably even more. Reward yourself with that money. Quit Smoking Step 4 Version 3.jpg 4 Choose a specific quit date. Instead of trying to quit each year on your birthday or for your New Year's Resolution, try quitting on a Monday! And not just next Monday - but every Monday. That gives you 52 chances in a year instead of just one chance––making it more likely that you’ll succeed. The Healthy Monday Campaign, a non-profit national public health campaign associated with the Columbia University's Mailman School of Public Health, encourages people to quit smoking and take other healthy actions on Mondays. Between your decision to quit smoking and your "quit date", do not smoke the same brand. The difference in flavors and chemicals will make smoking less enjoyable, but not intolerable. Switching brands also helps to ‘de-automate’ smoking, which can help you become more conscious of your habit and increase your chances for success. Remove all tobacco products, like lighters and matches from your home and office. Also, don't even keep a pack of cigarettes at your home, because it will make it easier to start smoking again. That last step will not help people who have bummed a few thousand smokes in their life. In that case, refuse to open a pack. Keep it on you for at least a month, and maybe a year, until delaying yourself, distracting yourself, and denying that urge to open your pack is strong. Quit Smoking Step 5 Version 3.jpg 5 Find a medication or a doctor to help you quit smoking. Nicotine replacement therapy is one option. Nicotine patches release a steady stream of nicotine into your bloodstream through your skin, and nicotine gum delivers nicotine through the lining in your mouth. Other forms of nicotine replacement therapy include nicotine sprays and inhalers that also work by delivering nicotine to your body. Alternatively, ask your doctor about prescription medications to help you quit. Quit Smoking Step 6 Version 3.jpg 6 Survive the first week. Use a cigarette substitute like mints, sunflower seeds, toothpicks, and coffee stirrers to help you get used to not smoking. When you were smoking, your mind and body became accustomed to the physical act of smoking, holding the cigarette in your hand, and putting it to your lips; using harmless substitutes eases the psychological transition to not smoking. Get out and about. Doing things to distract you from smoking is a good idea. Play a sport, go to the movies, walk along the beach, catch up with smoke-free friends for a gaming session, etc. You might be able to stop the cravings by doing twenty push-ups or brushing your teeth whenever you experience a craving. Place a big fat rubber band on your wrist. Everytime you get a craving, pull the rubber band back and "snap" your wrist, the trigger sensation goes away w/ the sting of the snap. Replace smoking by drinking water heavily; be careful not to drink too much or it will make your stomach look like a balloon for a few weeks. You may need to stay close to a bathroom. Have a low-calorie mint instead of a dirty, stinky cigarette. Quit Smoking Step 7 Version 3.jpg 7 Try abstaining from smoking for a month. Keep telling yourself you will go back to smoking after that month. Then, when the month ends, decide on whether you really want to go back. The answer should be "no!" Quit Smoking Step 8 Version 3.jpg 8 Try a novel approach if you're unsure of the cold turkey approach. Do not force yourself to quit! Instead, observe yourself and the habit of smoking for a week normally as you usually do. Play with the cigarette you hold in your hands and notice how it looks, feels and smells. This will make you aware of yourself in spite of the habit, and will help when finally you take control over yourself, because you cannot stop doing something you are not even aware of. In most of the cases, the person is aware of buying a cigarette pack, lighting it and puffing out the smoke and stubbing the butt in the end, but is unconscious of his or her sensations while they are happening during the process. Usually smokers use smoking to relax or to enjoy the time to think and ponder over something while still feeling the emotion of being in control or doing something engaging with their hands. Avoid being over-aware. Just take a normal casual approach and write it down or make mental notes. Even better, imagine the whole scenario of "how you will light the next one". This way your mind will now have all the necessary sequences required to accept the habit and process your response in future. Because of this focus, you may begin to feel the sour taste in your taste buds, or diminishing sense of smell, or anything else that may pop up that may entice you to leave it. Quit Smoking Step 9 Version 3.jpg 9 Get back on track if you slip up. Don't get discouraged if you "slip" and smoke while trying to quit. Forgive yourself and try again. The key is to not give up, no matter how hard it feels. Pinpoint times, locations, and stresses that trigger an urge to smoke. Think of activities you can occupy yourself with as an alternative. Tell your friends and family that you're trying to quit. Find support in those you love the most. When you feel a coming on, take several slow, deep breaths until the feeling subsides. Quit Smoking Step 10 Version 3.jpg 10 For those who believe that no time is like the present, why not quit at the end of your pack? For every smoke you take, break one and throw it in your toilet. Make it your last pack with a little ceremony, always trying to keep one, perhaps as a souvenir. Quit Smoking Step 11 Version 3.jpg 11 Throw remaining cigarettes away, stop buying them, and think about living a long healthy life, rather than thinking of dying! Don't hang out with the friends who smoke or don't go near the people who do. Quit Smoking Step 12 Version 3.jpg 12 Tell your friends and your family that you don't want to smoke and you don't want to see tobacco anywhere near you. Your family and your friends will try to help you out with that.

Tuesday, February 24, 2015

Read and Knows: How to understand the period or periods of normal ...

Read and Knows: How to understand the period or periods of normal ...: কিভাবে বুঝবেন পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব স্বাভাবিক নিয়মে হচ্ছে অনেক নারীই জানেন না যে তার ঋতুস্রাবটি সঠিক নিয়মে হচ্ছে নাকি হচ্ছে না। এক্ষেত্রে প্...

Saturday, February 21, 2015

Annoying 8 domestic solution is very simple physical problems বিরক্তিকর ৮ টি শারীরিক সমস্যার খুব সহজ ঘরোয়া সমাধান

মাথাব্যথা, পেট ফাঁপা, গলা খুসখুস ভাব, মুখের ভেতরে ফোঁড়া উঠার সমস্যা সহ নানা সমস্যায় আমরা হরহামেশাই ভুগে থাকি। এইসকল ছোটোখাটো সমস্যা প্রায়ই লেগে থাকে। কিন্তু এই সামান্য সমস্যার জন্য প্রতিবার ডাক্তারের কাছে দৌড়নোর অর্থ হচ্ছে একগাদা ঔষধ যার রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই ছোটোখাটো সমস্যাগুলোর জন্য ডাক্তারের কাছে না দৌড়ে ঘরেই খুব সহজে করে ফেলতে পারেন সমাধান। জানতে চান কীভাবে? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক। ১) দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা একটি আপেল নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এরপর স্লাইস করে কেটে উপরে ছড়িয়ে দিন কিছুটা লবণ। সকালে উঠে এই আপেল ও লবণ খেয়ে নিন। এতে করে দূর হয়ে যাবে দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথার সমস্যা। ২) পেট ফাঁপা ১ কাপ পানিতে ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা গুলে মিশ্রন তৈরি করুন। পেট ফাপার সমস্যায় এই মিশ্রণটি পান করুন। সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান হবে। ৩) গলা খুসখুসে ভাব ২ কাপ পানিতে ১ মুঠো পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটাতে থাকুন। পানি ফুটে ১ কাপ পরিমাণে হলে নামিয়ে নিন। এই পানি দিয়ে গার্গল করুন সকাল বিকাল। খুসখুসে ভাব দূর হবে সহজেই। ৪) সাইনাসের কারণে নাকবন্ধের সমস্যা আধা কাপের কম পরিমাণ গরম পানিতে সামান্য অর্গানিক আপেল সিডার ভিনেগার ও ১ চিমটি গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। দিনে ২ বার এই মিশ্রণটি চায়ের মতো পান করুন। ৫) অ্যাজমার প্রকোপ কমাতে ১ টেবিল চামচ মধুতে আধা টেবিল চামচ দারুচিনি গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে খেয়ে নিন। রাতে ঘুমানোর পূর্বে এই মিশ্রণটি খাবেন। এতে ভালো ফল পাবেন। ৬) মেয়েদের মাসিকের ব্যথা দূর করতে ঠাণ্ডা পানিতে ২ টি গোটা লেবুর রস গুলে নিন। এই পানীয় পান করুন ব্যথা না কমা পর্যন্ত। ৭) চুলের খুশকি দূর করতে রাতে ঘুমানোর পূর্বে চুলে কর্পূর মেশানো নারকেল তেল লাগিয়ে ঘুমান। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকি দূর হয়ে যাবে। ৮) অকালে চুল পাকার সমস্যা শুকনো আমলকী কেটে নারকেল তেলে ফুটিয়ে নিন। এই তেলটি প্রতিদিন মাথার ত্বকে চুলের গোঁড়ায় ভালো করে ম্যাসেজ করে নিন। চুল পাকা কমে যাবে। সূত্রঃ দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া

The secret is to enhance the beauty of Kim গোপন সৌন্দর্য বাড়াতে যা করছেন কিম

নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে কে না চায়। আর তাই সৌন্দর্য্য রক্ষা এবং বৃদ্ধিতে সব তারকাই মেকআপ আর্টিস্টের দ্বারস্থ হন। তারকাদের আকর্ষনীয় করে তোলার দ্বায়িত্ব পালন করেন তাদের নিজস্ব মেকআপ আর্টিস্ট। এবার নিজের বক্ষ সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য মেকআপ আর্টিস্ট নিয়োগ দিয়েছেন হলিউড তারকা মডেল কিম কার্দাশিয়ান। ৩৪ বছর বয়সী এ মডেল ও অভিনেত্রীর বক্ষ এবং ক্লিভেজ আকর্ষনীয় করে তোলার দ্বায়িত্ব পালন করছেন নবনিযুক্ত মেকআপ আর্টিস্ট। স্বামী কেনি ওয়েস্টের উৎসাহতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। আবেদনময়ী কিম চাইছেন, সবার চোখ যেন আটকে যায় তার দিকে। আর তাই আজকাল মেকআপ আর্টিস্টের কথা মত এমন সব পোশাক পরছেন, যাতে চেহারা নয় দর্শকের মনোযোগ থাকে শরীরের বিশেষ অংশে। টুইটারে কিম আরও জানান, স্বামী এবং কাছের বন্ধুরা তার নতুন মেকআপ আর্টিস্টের কাজে সন্তুষ্ট। সাম্প্রতিক কয়েকটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের দৃষ্টির ঠিকানা দেখেই কিম বুঝতে পারছেন, সফল তার মেকআপ আর্টিস্ট। সূত্র: ডেইলি মেইল

Women during pregnancy skin problems গর্ভকালীন নারীর ত্বকের সমস্যা

গর্ভকালীন নারীর ত্বকের সমস্যা গর্ভকালীন নারীর দেহে কিছু গুরুতর ফিজিওলজিক্যাল পরিবর্তন সাধিত হয়। এই সময় পিটুইটারি, থাইরয়েড ও অ্যাডরিনাল গ্রন্হির কর্মকান্ড বৃদ্ধি পায়। ফলে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন ও ষ্টেরয়েড হরমোন তৈরি হয়ে থাকে। এরই প্রভাবে গর্ভকালীন নারীর যেসব রোগ বা উপসর্গ তৈরি হয় তা নিম্নরুপঃ পিগমেন্টেশনঃ গর্ভবতী মায়ের স্তনের বোঁটা ও তার আশ পাশের ত্বক, কালচে রংয়ের হয়। – কিছু সংখ্যক ক্ষেত্রে বগল ও উরুতেও এ ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। –সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হচ্ছে মুখে মেছতা হওয়া যা কি না অন্তত ৫০ ভাগ ক্ষেত্রেই গর্ভাবস্হায় হতে দেখা যায়। –প্রসব করার পর কিছুদিনের মধ্যেই এই পরিবর্তিত রং আবার আগের অবস্হায় ফিরে আসতে থাকে। * অনেক ক্ষেত্রেই গর্ভবতীর মুখে সামান্য পরিমাণ বা তার চেয়ে কিছু বেশি পরিমাণে অবাঞ্ছিত লোম গজাতে দেখা যায়, যা সাধারণত প্রসবের পর কমে যায়। তবে জটিল গর্ভাবস্হার সৃষ্টি হলে কিংবা অপারেশনের মাধ্যমে প্রসব করিয়ে থাকলে যদি অস্বাভাবিক রকমের শারীরিক বা মানসিক চাপ হতে দেখা যায় তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রসবের ১ থেকে ৫ মাসের মধ্যে সাংঘাতিক রকমের চুল পড়ে গেলেও প্রায় সব ক্ষেত্রেই পুনরায় স্বাভাবিক অবস্হায় তা ফিরে আসে। * গর্ভাবস্হায় ত্বকের ওপর চাপ পড়ে। পেট বড় হওয়ার কারণে ত্বক প্রসারিত হতে থাকে। এক পর্যায়ে যখন আর প্রসারণ ঘটার ক্ষমতা থাকে না, তখন ত্বকে ফাটল ধরে। * গর্ভবতীর পেটে লালচে দানা হতে দেখা যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গর্ভবতীর শেষের ৩ মাসে হয়ে থাকে। এই দানা এক হয়ে মিশে গিয়ে পুরো স্হানেই একটা লালচে ভাব সৃষ্টি করে। এতে থাকে অস্বাভাবিক রকমের চুলকানি। এ অবস্হায় রাত্রে গর্ভবতী ঘুমাতে পারে না চুলকানির কারণে। কখনো কখনো চুলকানির ফলে কষ ঝরতে থাকে। কখনো কখনো বাহুতে এবং পায়েও ছড়িয়ে পড়তে পারে, তবে কখনই মুখে হতে দেখা যায় না। সাধারণভাবে এটি প্রসবের পরপরই ভালো হয়ে যায়। * লিভার সিষ্টেমের সমস্যার কারণে গর্ভাবস্হার শেষের দিকে সারা শরীরে চুলকানি শুরু হয় এবং সেই সঙ্গে জন্ডিস দেখা দেয়। প্রথম দিকে যে চুলকানি হয় তা শুধু রাত্রি কালীন সময়ে হয়ে থাকে। প্রথমে শরীরের অংশ বিশেষ ধরে শুরু হলেও পরে সারা শরীরে বিস্তার ঘটে। এর সঙ্গে বমি বমি ভাব ও শারীরিক দুর্বলতা বিদ্যমান থাকে। সাধারণত সন্তান প্রসবের কিছুদিন পর পরই এটা ভালো হয়ে যায়। তবে ভবিষ্যতে পুনরায় সন্তান সম্ভবা হলে তখন একইভাবে একই উপসর্গ নিয়ে রোগটি আবার দেখা দিতে পারে। এছাড়া আরো রোগ আছে, যা গর্ভবতী মায়ের হতে দেখা যায়। তবে এই রোগগুলোর ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া জরুরী। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরী।

How to understand the period or periods of normal rules কিভাবে বুঝবেন পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব স্বাভাবিক নিয়মে হচ্ছে

কিভাবে বুঝবেন পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব স্বাভাবিক নিয়মে হচ্ছে অনেক নারীই জানেন না যে তার ঋতুস্রাবটি সঠিক নিয়মে হচ্ছে নাকি হচ্ছে না। এক্ষেত্রে প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান আর বান্ধবীদের মাঝে আলোচনা। ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড প্রতিটি নারীরই হয়ে থাকে। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই নারীদের এই ঋতুস্রাব হয়ে থাকে। মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এটি একবার করে হয়ে থাকে। তবে মাসে ২-৩ বার হওয়া বা একেবারেই না হওয়া একটি খারাপ লক্ষণ। তবে হঠাৎ করে এর স্বাভাবিক সময় পরিবর্তন হওয়াটাও খারাপ একটি লক্ষণ। এর জন্য অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। কিন্তু অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে এই প্রক্রিয়াতে যার ফলে একজন নারীর বন্ধ্যাত্ব সমস্যাও হতে পারে। তবে কী করে বুঝবেন আপনার ঋতুস্রাবটি স্বাভাবিক নিয়মে হচ্ছে? ঋতুস্রাবের সময়কাল : প্রায় সব নারীরই এই ঋতুস্রাব হওয়ার সময়কাল হয়ে থাকে ৩-৫ দিন পর্যন্ত। কিন্তু এর স্বাভাবিক সময়কাল হল কমপক্ষে ২ দিন থেকে ৭ দিন পর্যন্ত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৭ দিনের একটু বেশি সময় ধরে অল্প অল্প করে রক্তস্রাব হওয়াটা স্বাভাবিক তবে যদি রক্তপ্রবাহ অনেক বেশি হয়ে থাকে তাহলে তা অবশ্যই অস্বাভাবিক। রক্তপ্রবাহের পরিমাণ : একেকজন নারীর ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে এই ঋতুস্রাব হয়ে থাকে। কারও অনেক কম হয়ে থাকে, কারও অনেক বেশি হয়ে থাকে আবার কারও মাঝামাঝি পর্যায়ে হয়ে থাকে। স্বাভাবিক রক্তস্রাবের পরিমাণটি কেমন তা জানা দরকার। অল্প অল্প করে দিনে কয়েকবার হওয়াটা স্বাভাবিক। দিনে ৩ টা প্যাড পরিবর্তন করাটাও স্বাভাবিক। তবে মধ্যরাতে একই পরিমাণ প্যাড পরিবর্তন করাটা অস্বাভাবিক। কেননা স্বাভাবিক নিয়মেই রাতে ঋতুস্রাব একটু কম হয়ে থাকে অনেকেরই। কারণ শারীরিক পরিশ্রমের উপরে এর পরিমাণ বাড়তে পারে, রাতে পরিশ্রম একেবারেই হয় না বলে এর পরিমাণও কম হয়ে থাকে। ঋতুস্রাবের প্রথম কয়েকদিন এর প্রবাহ একটু বেশি থাকবে এটি স্বাভাবিক কিন্তু তাই বলে প্রতি ঘন্টা বা প্রতি ২ ঘন্টায় প্যাড পরিবর্তন করাটা অস্বাভাবিক। এমন অস্বাভাবিকতা দেখামাত্র ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হওয়া একান্ত জরুরি। পরবর্তী ঋতুস্রাবের মধ্যবর্তী সময়কাল : স্বাভাবিকভাবেই জানা যায় যে বর্তমান ঋতুস্রাব থেকে পরবর্তী ঋতুস্রাবের মধ্যবর্তী সময়কাল হয়ে থাকে ২৮ দিন। তবে গবেষণায় উঠে এসেছে যে এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। বর্তমান ঋতুস্রাব থেকে পরবর্তী ঋতুস্রাবের মধ্যবর্তী সময়কাল ২১ দিন থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে এই সময়কাল ২১ দিনের কম এবং ৩৫ দিনের বেশি হওয়াটা অস্বাভাবিক। ঋতুস্রাব স্বাভাবিক হওয়ার কিছু লক্ষণ : * মাঝে মাঝে বমি ভাব হতে পারে * শারীরিক অনুভূতি দৃঢ় হবে * পেটে ব্যথা থাকবে * শরীর দুর্বল লাগবে * হালকা মাথাব্যথা হবে * ক্ষুধা লাগবে * খিটখিটে মেজাজ থাকবে * ঘুমের সমস্যা হতে পারে * মুখে ব্রণ হতে পারে

That should not deprive yourself of the joy of 7 women যে ৭ টি আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা উচিত নয় নারীদের

একজন নারী কতো সম্পর্কেই তো জড়িয়ে রয়েছেন সকলের সাথে। কিন্তু একজন নারী এর চাইতেও বেশি পরিচিত পান তার নিঃস্বার্থতা, অপার ভালোবাসা এবং মায়া-মমতা দিয়ে। কেউ কখনোই ভেবে দেখেন নি এই নিঃস্বার্থতা এবং অপার ভালোবাসা ও মায়া-মমতার আড়ালে একজন নারী নিজেকে বঞ্চিত করছেন তার নিজস্ব কিছু প্রাপ্য থেকে। নিজের আনন্দ বিসর্জন দিয়ে শুধু অন্যের কথা চিন্তা করে চলতে পারেন একজন নারীই। কিন্তু কোন কাজটি করা উচিত এবং কোনটি উচিত নয় তা নির্বাচন করতে হবে একজন নারীকেই। নিজেকে বঞ্চিত না করে কিছু কাজের আনন্দ নেয়া উচিত সকল নারীর। ১) একটি বিষাক্ত সম্পর্কের দায় থেকে বেড়িয়ে আসার আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না কখনো। যে সম্পর্কের কোনো ভবিষ্যৎ নেই শুধুমাত্র সমাজ এবং আপন মানুষের ভয়ে সে সম্পর্ক টেনে নিজেকে কষ্ট না দিয়ে বেড়িয়ে আসুন সেই বিষাক্ত সম্পর্ক থেকে। ২) মুটিয়ে যাওয়ার কথা না ভেবে নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী খাওয়ার আনন্দ নষ্ট করবেন না। নিজের পছন্দের খাবার না খেয়ে এবং অন্যের চোখে শুধুমাত্র একটু সুন্দর দেখানোর আশায় নিজেকে শুকিয়ে কংকাল বানানোর কোনো অর্থই হয় না। ৩) অন্যের সৌন্দর্যে ঈর্ষান্বিত না হয়ে আয়নায় দেখে নিজের প্রশংসা করার আনন্দ মাটি হতে দেবেন না দয়া করে। আপনি আপনার আপনিতেই অনেক বেশি সুন্দর। নিজেকে অন্য কারো সাথে তুলনা করে কষ্ট পাবেন না, যেখানে সৃষ্টিকর্তা আপনাকে পুরোপুরি আলাদা করে তৈরি করেছেন। ৪) যে কাজটি আপনার সাধ্যের বাইরে সেখানে না বলার আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না। আপনার এই না বলার পেছনে কোনো লজ্জা থাকার প্রয়োজন নেই, বরং হ্যাঁ, বলে কাজটি না করতে পারার মধ্যে লজ্জা রয়েছে। ৫) নিজের ইচ্ছেটাকে হ্যাঁ, না বলে দুঃখী করবেন না নিজেকে। যদি সকলের ইচ্ছে পূরণ হয় তাহলে আপনারটাও হবে, অন্যের জন্য নিজের সবকিছু বিসর্জন দেবেন না। একটু নিজের কথাও ভাবুন। ৬) অতীতের দুঃখ ধরে রেখে কষ্ট দেবেন না নিজেকে। যা চলে গিয়েছে তা একেবারেই গিয়েছে, নতুন করে তা নিয়ে ভাবার অবকাশ না পাওয়াই আপনার বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জন্য ভালো। ৭) শুধু আরেকজনের মত অনুযায়ী চলতে নিষেধ করার আনন্দ থেকে দূরে সরে যাবেন না। আপনিও একজন মানুষ। অন্য আরেকজনের কথা অনুযায়ী নিজেকে পরিবর্তন করে নিজের স্বত্বা মুছে ফেললে আপনার নিজেরই ক্ষতি।

Friday, February 20, 2015

Baby runny and stuffy nose problem but not শিশুর সর্দি ও নাক বন্ধ সমস্যায় কি করবেন

শিশুর সর্দি ও নাক বন্ধ সমস্যায় কি করবেন? শীত আসি আসি করছে। আর এই সময়টাতে হঠাত্ করে ছোট শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। হঠাৎ ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, সর্দি জমে থাকার মতো উপসর্গ দেখা দিলে শিশুরা কান্নাকাটি শুরু করে দেয় ও বিরক্ত করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব উপসর্গ ভাইরাসের আক্রমণের কারণে বা অ্যালার্জির কারণে হয় এবং এক সপ্তাহের মাথায় সেরে যায়। বর্তমানে ছোট্ট শিশু ও নবজাতকদের এ ধরনের সমস্যায় কোনো ওষুধ বা চিকিত্সার চেয়ে সাধারণ যত্নআত্তির দিকেই জোর দেওয়া হয়। -আধা কাপ কুসুম গরম পানিতে চা-চামচের ৪ ভাগের ১ ভাগ লবণ গুলে স্যালাইন ড্রপ তৈরি করুন। বাজারে স্যালাইন নাকের ড্রপ কিনতেও পাওয়া যায়। -একটা তোয়ালে বা কাপড় রোল করে শিশুর মাথার নিচে দিয়ে তাকে চিত করে শোয়ান। এবার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পর পর দুই বা তিন ফোঁটা ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার করে দিন। -ড্রপ দেওয়ার পর কাত করে শুইয়ে দিয়ে তরল সর্দি বেয়ে পড়তে দিন, টিস্যু দিয়ে মুছে দিন। কটন বাড নাকের ভেতর ঢোকাবেন না। -দুই বছর বয়সের নিচে নাকের ডিকনজেসটেন্ট ড্রপ বা স্প্রে ব্যবহার করা নিষেধ। ডিকনজেসটেন্ট জাতীয় ওষুধ নাকের শিরাগুলোকে সংকুচিত করবে, এটি নাক দিয়ে পানি পড়া রোধ করবে না। শিশুদের ক্ষেত্রে তিন দিনের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।

How to spot potential newborn jaundice after birth জন্মের পর নবজাতকের জন্ডিস কিভাবে বুঝবেন

জন্মের পর নবজাতকের জন্ডিস কিভাবে বুঝবেন? শিশুর যকৃৎ পুরোপুরি কর্মক্ষম হয়ে উঠতে একটু দেরি হলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে জন্ডিস হয়। শতকরা ৭০-৮০ ভাগ নবজাতকেরই জন্মের পর জন্ডিস হতে পারে। ৫০ শতাংশের বেলায় একে বলে স্বাভাবিক জন্ডিস বা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিস। নবজাতকের জন্ডিস কেন হয়? কম ওজনে ভূমিষ্ঠ শিশু বা সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশুরা জন্ডিসে বেশি আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া জন্ডিসের কারণ হিসেবে যে বিষয়গুলো দায়ী হতে পারে, তা হলো: মা ও শিশুর রক্তের গ্রুপ যদি ভিন্ন হয়। শিশু সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত বুকের দুধ না পেলে, অনেক সময় একে ব্রেস্ট ফিডিং জন্ডিসও বলা হয়। গর্ভাবস্থায় মায়ের কোনো সংক্রমণের ইতিহাস। শিশু জন্মগত কোনো রোগে আক্রান্ত হলে। জন্মের পর শিশুর রক্তে সংক্রমণ বা সেপটিসেমিয়া। জন্মগতভাবে শিশুর যকৃৎ বা পিত্তথলিতে কোনো সমস্যা ইত্যাদি কীভাবে বুঝবেন জন্ডিস? শিশুর হাতের তালু হলুদ হয়ে গেছে কি না লক্ষ করুন। সাধারণত শিশুর মুখ, হাত ও বুক বা পেটের ওপর পর্যন্ত হলুদ হতে দেখা যায়। মলের রং সবুজ হতে পারে। শিশুর গায়ের রং পরিবর্তিত হতে দেখলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা পরীক্ষা করা যায়। রঙের পরিবর্তন বাড়তে দেখলে এই বিলিরুবিন প্রয়োজনে বারবার পরীক্ষা করা যায়। জন্ডিস হলে কি বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে? কোনো অবস্থায়ই নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত রাখা যাবে না। শিশুকে নিয়মিত দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। বিশেষ করে ফিজিওলজিক্যাল বা স্বাভাবিক জন্ডিসের মূল চিকিৎসাই হচ্ছে শিশুকে ঠিকমতো বুকের দুধ খাওয়ানো। রোদ চিকিৎসা বা আলো চিকিৎসা বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে সাধারণত শিশুকে ফটোথেরাপি বা আলোক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর উপকারিতা ও কার্যকারিতা নিয়ে মতভেদ থাকলেও এখন পর্যন্ত এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিদিন সকালে নবজাতককে আধা ঘণ্টা রোদ পোহাতেও বলা হয়। তবে সূর্যের কড়া রোদ ও অতি বেগুনি রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কখন সতর্ক হবেন? স্বাভাবিক জন্ডিস সাত দিনের মধ্যেই সেরে ওঠার কথা। এর পরও কিছু ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জন্ডিস দেখা দিলে, সাত বা দশ দিনের পরও না সারলে, শিশু খাওয়া বন্ধ করে দিলে বা কমিয়ে দিলে, জ্বর বা সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে, বিলিরুবিনের মাত্রা দ্রুত বাড়তে থাকলে বা আগের শিশু জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে থাকলে অবশ্যই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করুন। অধ্যাপক তাহমীনা বেগম শিশুরোগ বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল।