Saturday, February 21, 2015
Women during pregnancy skin problems গর্ভকালীন নারীর ত্বকের সমস্যা
গর্ভকালীন নারীর ত্বকের সমস্যা
গর্ভকালীন নারীর দেহে কিছু গুরুতর ফিজিওলজিক্যাল পরিবর্তন সাধিত হয়। এই সময় পিটুইটারি, থাইরয়েড ও অ্যাডরিনাল গ্রন্হির কর্মকান্ড বৃদ্ধি পায়। ফলে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন ও ষ্টেরয়েড হরমোন তৈরি হয়ে থাকে। এরই প্রভাবে গর্ভকালীন নারীর যেসব রোগ বা উপসর্গ তৈরি হয় তা নিম্নরুপঃ
পিগমেন্টেশনঃ গর্ভবতী
মায়ের স্তনের বোঁটা ও তার আশ পাশের ত্বক, কালচে রংয়ের হয়।
– কিছু সংখ্যক ক্ষেত্রে বগল ও উরুতেও এ ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়।
–সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হচ্ছে মুখে মেছতা হওয়া যা কি না অন্তত ৫০ ভাগ ক্ষেত্রেই গর্ভাবস্হায় হতে দেখা যায়।
–প্রসব করার পর কিছুদিনের মধ্যেই এই পরিবর্তিত রং আবার আগের অবস্হায় ফিরে আসতে থাকে।
* অনেক ক্ষেত্রেই গর্ভবতীর মুখে সামান্য পরিমাণ বা তার চেয়ে কিছু বেশি পরিমাণে অবাঞ্ছিত লোম গজাতে দেখা যায়, যা সাধারণত প্রসবের পর কমে যায়। তবে জটিল গর্ভাবস্হার সৃষ্টি হলে কিংবা অপারেশনের মাধ্যমে প্রসব করিয়ে থাকলে যদি অস্বাভাবিক রকমের শারীরিক বা মানসিক চাপ হতে দেখা যায় তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রসবের ১ থেকে ৫ মাসের মধ্যে সাংঘাতিক রকমের চুল পড়ে গেলেও প্রায় সব ক্ষেত্রেই পুনরায় স্বাভাবিক অবস্হায় তা ফিরে আসে।
* গর্ভাবস্হায় ত্বকের ওপর চাপ পড়ে। পেট বড় হওয়ার কারণে ত্বক প্রসারিত হতে থাকে। এক পর্যায়ে যখন আর প্রসারণ ঘটার ক্ষমতা থাকে না, তখন ত্বকে ফাটল ধরে।
* গর্ভবতীর পেটে লালচে দানা হতে দেখা যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গর্ভবতীর শেষের ৩ মাসে হয়ে থাকে। এই দানা এক হয়ে মিশে গিয়ে পুরো স্হানেই
একটা লালচে ভাব সৃষ্টি করে। এতে থাকে অস্বাভাবিক রকমের চুলকানি। এ অবস্হায় রাত্রে গর্ভবতী ঘুমাতে পারে না চুলকানির কারণে। কখনো কখনো চুলকানির ফলে কষ ঝরতে থাকে। কখনো কখনো বাহুতে এবং পায়েও ছড়িয়ে পড়তে পারে, তবে কখনই মুখে হতে দেখা যায় না। সাধারণভাবে এটি প্রসবের পরপরই ভালো হয়ে যায়।
* লিভার সিষ্টেমের সমস্যার কারণে গর্ভাবস্হার শেষের দিকে সারা শরীরে চুলকানি শুরু হয় এবং সেই সঙ্গে জন্ডিস দেখা দেয়। প্রথম দিকে যে চুলকানি হয় তা শুধু রাত্রি কালীন সময়ে হয়ে থাকে। প্রথমে শরীরের অংশ বিশেষ ধরে শুরু হলেও পরে সারা শরীরে বিস্তার ঘটে। এর সঙ্গে বমি বমি ভাব ও শারীরিক দুর্বলতা বিদ্যমান থাকে। সাধারণত সন্তান প্রসবের কিছুদিন পর পরই এটা ভালো হয়ে যায়। তবে ভবিষ্যতে পুনরায় সন্তান সম্ভবা হলে তখন একইভাবে একই উপসর্গ নিয়ে রোগটি আবার দেখা দিতে পারে।
এছাড়া আরো রোগ আছে, যা গর্ভবতী মায়ের হতে দেখা যায়। তবে এই রোগগুলোর ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া জরুরী। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরী।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment